বাসচালককে লাঠিপেটার অভিযোগে সড়ক অবরোধ করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানান, রমজান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুক্তাগাছা থানার বিপরীতে পৌরসভা কার্যালয়ের পাশে বাস না থামানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সেখানে ইসলাম পরিবহনের একটি বাস দাঁড় করানো হলে ইউএনও আতিকুল চালক মোহাম্মদ বুলু মিয়াকে লাঠিপেটা করেন। এতে তিনি বাম হাত আঘাত পান। ঘটনার প্রতিবাদে বাসশ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাসের চালক মো. আকাশ মিয়া ওরফে ভুলু (৪৫) সাংবাদিকদের জানান, ঢাকায় যাওয়ার লক্ষ্যে ভাবকির মোড় থেকে পৌরসভার পাশে আসা মাত্রই ইউএনও স্যার আমার বাসে উঠে পড়েন। তিনি নিজের গাড়ির চালককে লাঠি আনতে বলতে থাকেন। আমি রোজা রেখেছি, আমাকে মাফ করে দেন এ কথা বলার পরও তিনি লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই। পরে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মুক্তাগাছা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক বাবুল মিয়া বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। হয়তো ইউএনও রাগের মাথায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন। আমরা আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করে নেব।
ইউএনও আতিকুল ইসলাম লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বাসগুলো পৌর বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়া হবে। তারপরও রাস্তার ওপর বাস দাঁড়াচ্ছিল। সকালে রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় কারণ জানতে চাইলে তারা এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, বাসের চালককে ইউএনও মারধর করেছেন এমন অভিযোগে শ্রমিকেরা প্রায় দুই ঘণ্টা ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে। পরে বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। সকল পক্ষ বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।