চাঁদপুরের
হাজীগঞ্জে ১৪ বছরের কিশোরীকে
আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ এবং গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে নানা সিরাজুল ইসলামকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গর্ভপাত ঘটানোর সাথে জড়িত থাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়াসহ তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৪ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।
পুলিশ
সুপার জানান, বৃদ্ধের এমন জঘন্য এবং অনৈতিক কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও
আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর ডিএনএ
পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায়
কিশোরীটির মা বাদী হয়ে
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
এর
আগে বৃহস্পতিবার ভোরে হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় সেখানকার একটি বসতঘর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে ইলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। নাজমা অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল ও ছেলের স্ত্রী
সীমার সহায়তা কিশোরীর গর্ভপাত করান।
তিনি আরও
জানান, বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ওই আয়াকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। এসময় ওই কিশোরী ছয়
মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
এদিকে
ঘটনার দায় স্বীকার করায় দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, দরিদ্র বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতিতে
দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম কিশোরীকে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তার মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীকে
দিয়ে হাজীগঞ্জের ইসলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে বাসায় ডেকে নিয়ে গর্ভপাত করান।
সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা বিশেষ শাখার কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ জোবায়ের সৈয়দ ও মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মহসিন
কবির প্রমুখ।