দুই সপ্তাহ
আগে চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন আনিকা। আজ স্বামীর বাসা
থেকে বাবার বাড়ি যাবার চলছিলো প্রস্তুতিসহ অতিথি আপ্যায়নের আয়োজনও। আচমকা শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় মুঠোফোনে
খবর আসে পুকুর খননের মাটি বহনের ট্রাক্টর চাপায় নিহত হয়েছেন তাঁর স্বামী শাকিল হোসেন (২৩)। আচমকা
খবরে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে আনিকার মাথায়। স্বামী হারা আনিকার আত্মচিৎকারে বাতাস ভারি হয়েছে।
আনিকা
খাতুন (১৮) গুরুদাসপুর পৌরসভার আনন্দ নগর মহল্লার আলম প্রামানিকের মেয়ে। নিহত শাকিল গুরুদাসপুর পৌর সদরের গাড়ীষা পাড়া মহল্লার আব্দুল খালেক প্রামানিকের একমাত্র সন্তান।
নিহত
শাকিলের স্বজন, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী বারেছা
বেগম সূত্রে জানা গেছে, নিহত শাকিল ছোটবেলা থেকেই একই এলাকার দশরত প্রামানিকের বাসা ও ইটভাটা দেখাশুনার
কাজ করতেন। ঘটনার দিন পৌর সদরের খোয়ারপাড়া মহল্লায় দশরত প্রামানিকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের ইটভাটায় ট্রাক্টর থেকে মাটি আনলোডের কাজ করছিলেন।
চালক
রতন আলী (২২)পিছন দিকে
ট্রাক্টরটি চালনা করলে ওই ট্রাক্টরটি শাকিলের পেটের ওপর দিকে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
উপস্থিত
জনতা শাকিলকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে ট্রাক্টর
চালক রতন পলাতক রয়েছেন।
তার
ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। নিহত শাকিলের স্ত্রী আনিকা ট্রাক্টর চালকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে বলেন, সংসার বুঝে ওঠার আগেই আমি প্রিয়জন হারালাম। আমার মতো এমন ঘটনা যেন কারো না ঘটে।
গুরুদাসপুর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় মামলা
দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ট্রাক্টর জব্দ করে চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।