রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগড়াবন্ধ মন্ডলপাড়া গ্রামে। মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধের ফলে ওই এলাকার শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ আলী জানান, আবু তাহেরের ছেলে মো. নূরনবী খামারের বিষাক্ত বিষ্ঠা প্রতিদিন পরিষ্কার করেন। পরিষ্কার করার সময় প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িতে থাকা যায় না। খেতে বসলে বমি চলে আসে। বাড়ির ভেতরে অনেক ভাত খাওয়ার সময় অনেক মাছি আসে। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতবছরে এ সময় অভিযোগ করার পর ফার্মটি বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবারো চালু করছে। আর ইউনিয়ন পরিষদ কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স দেয়। দ্রুত ফার্মটি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নূর নবীর মুরগির ফার্ম থেকে প্রতিদিন বিপুল বিষ্ঠা বের হয়। এসব বিষ্ঠা ফার্মের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় দিনে দুপুরে খোলা জায়গায় যত্রতত্র ফেলে রাখছে তারা। এসব বিষ্ঠা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখার ফলে মাসুদ আলীর ও তার আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ হয় পড়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের স্ত্রী মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে মুরগির ফার্মটি দিয়েছে। তারা মুরগির বিষ্ঠা গুলো বাড়ির সামনে গর্তে ফেলিয়াছিল। আমরা বাধা নিষেধ করলে তারা বলেন আমাদের জায়গায় আমরা কি করি আপনাদের কি। আপনারা বাড়িঘর উঠিয়ে নিয়ে পাঁচপীর এলাকায় চলে যান।
এ বিষয়ে মুরগির ফার্মের মালিক নূরনবী বলেন, আমার জায়গায় আমি মুরগির খামার দিয়েছি। আমার কোন সমস্যা নেই। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে মুরগির ফার্ম চালাচ্ছি। কারো সমস্যা হলে আমার কিছু করার নেই। প্রথমে মুরগির বিষ্ঠা গর্তে ফেলিয়ে ছিলাম। তারা বাধা নিষেধ করলে এখন মুরগির বিষ্ঠা গুলো বস্তায় ভর্তি করে রেখেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মালিহা খানম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।