সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রথম থাই পেয়ারা বাগান করে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে দেরাজ উদ্দিন করিমন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন। উচ্চ শিক্ষিত যুবক চাকরি এবং কাজের ফাঁকে ৪ বছর আগে এই থাই পেয়ারা চাষাবাদ শুরু করেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের শিলন্দা এলাকার মাঠে ৬ বিঘা জমি লিজ নেন। সেখানে ১ হাজার বারোমাসি থাই পেয়ারা বাগান করেন। নাটোর থেকে এসব চারা সংগ্রহ করে। এ বাগানে প্রতিবছরে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৫০ কেজির মতো থাই পেয়ারা হয়। যা শোভা পাচ্ছে তাদের গাছে।বাগানটিতে প্রচুর পরিমাণে থাই পেয়ারা ধরায় পুরো বাগানটি ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাগানের গাছ থোকে থাই পিয়ারা তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাদে সুমিষ্টি হওয়ায় তাদের থাই পেয়ারা ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাগান থেকে আশা করেছে চলতি মৌসুমে এখানে থেকে পায় আনুমানিক ১ হাজার থেকে ১২শ মণ পেয়ারা বিক্রি করবেন। যা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করার সম্ভাবনা দেখছেন। উদ্যোক্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিজে কিছু করব, এমন চিন্তায় ৬ বিঘা জামির ওপর বাগানটি গড়ে তুলেছি। পুরো চাষাবাদে আমরা জৈব সার ব্যবহার করেছি। যার কারণে আমাদের বাগানে পেয়ারার ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। এখানে ৪ জন শ্রমিক কাজ করে। এছাড়া বারোমাস থাই পেয়ারা বাগানের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বসে না থেকে আমার মতো বাগান করে তবে তারাও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে থাই পেয়ারা বাগানের উদ্যোক্তাদের মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহয়োগিতা দিচ্ছি। শিক্ষক নাসির উদ্দিন এই মৌসুমেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছি। পাশাপাশি বারোমাস থাই পেয়ারা বিক্রি করবে।