অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ দূষণ কোন হালকা অপরাধ নয়, এটি কঠিন অপরাধ। রংপুরে পাহাড় নাই কিন্তু কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজি ক্ষেত থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, বনজঙ্গল উজার করে মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। একদিনে ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে বন্ধ করতে হবে।
এই ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে কোন সহানুভুতি দেখার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলো শক্তভাবে দেখতে হবে। পলিথিন একটা নিষিদ্ধ পণ্য । আগামী তিনমাস প্রতি সপ্তাহে একটি ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। বাজারে গিয়ে যেখানে পলিথিন পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদনের জায়গা সিলগালা করতে হবে।
পলিথিনসহ পরিবেশ দুষণ বিষয়ে কোন ছাড় নেই। কেউ যদি পলিথিন বিষয়ে আদালতে মামলা করতে যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে দাঁড়াতে হবে। উত্তরাঞ্চলে ইকো ট্যুরিজম সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে এই বিষয়ে কাজ হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে অনেক নদী আছে। এই নদীগুলো এখন দূষণমুক্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় দপ্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও তাদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশবাহিনীকে স্বগৌরবে ফেরানো ও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে যারা অপরাধী তাদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশকে আবার স্বগৌরবে ফিরে আনা, কর্মক্ষম করে তোলা ও পুলিশকে আবার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমরা চেষ্টা করছি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কর্মশালায় অংশ নেন বিভাগের আট জেলার বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।