কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে ২৪টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বসবাসকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিলেও এসব সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নামাপাড়া এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৪ টি পরিবার বসবাস করেন। তাদের নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ৩টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। তবে সেই নলকূপ থেকে উঠছে না পানি। ফলে আশ্রয়নে বাসিন্দারা পাশের নদী ও খালের পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ এর প্রিপেইড মিটার লাগানোর কারনে রিজার্জ করলে অর্ধেক টাকা কেটে নেই সময়ে টাকা রিচার্জ না করতে পারলে বিদ্যুৎ থাকে না। মোমবাতি জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা শহিদুল্লা বলেন, অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছিলাম, কিন্তু এখন টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার নিয়ে সবসময় টেনশনে থাকি।
আরেক বাসিন্দা সোহেল বলেন, আশ্রয়ণের প্রকল্পে টিউবওয়েলে পানি উঠে না। বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটারের কারণে মারাত্মক সমস্যায় আছি। মাত্র তিনটা টিউবওয়েলে নারীপুরুষ গোসল করা সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়।
টিউবওয়েল তিনটা বেশির ভাগ সময় নস্ট থাকে এবং ঘর বরাদ্দ দেয়ার সময় বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে ছিল নরমাল মিটার আমরা অসহায় বলে বিদুৎ অফিসের লোকজন জোড় করে আগের মিটার বাদ দিয়ে জোড় করে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনব শারমিন বলেন দরিদ্র জনগোষ্টি আশ্রয়ন কেন্দ্র ২৪টি পরিবারের পানির সমস্যার বিষয়টি সেটা জানতে পেরেছি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের উর্দ্ধোতন কৃতপক্ষের সাথে পরামর্শ মোতাবেক তাদের জন্য আমাদের যে করনিও সেটা নিধারন করবো তাদের করবে বলে জানান।