× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ময়মনসিংহে টক-মিষ্টি জিলাপির চাহিদা বাড়ছে

এম এ কালাম, ময়মনসিংহ

০৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:১৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

অন্য জিলাপির মত আড়াই প্যাচ হলেও টক মিষ্টির জিলাপির রয়েছে অন্য রকম স্বাদ। ভিন্ন স্বাদের কারনেই দিনের পর দিন বাড়ছে টক মিষ্টির জিলাপির চাহিদা। সারা বছর জিলাপি বিক্রি হলেও রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৫ মন জিলাপি।

ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে মেহেরবান হোটেলে বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী টক-মিষ্টি জিলাপি।  প্রতিদিন দুপুর থেকে মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত একচেটিয়া বিক্রি হচ্ছে এই জিলাপি। প্রথম রমজান থেকেই প্রতিদিন ছোট হোটেলটিতে বিক্রি হচ্ছে প্রায় এক লাখ টাকার জিলাপি। পুরো রমজানে ৩০ লাখ টাকার জিলাপি বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতা।

মেহেরবান হোটেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অন্য দোকানে বিক্রেতারা জিলাপিসহ ইফতারসামগ্রী ভাজতে আর ডালায় সাজাতে ব্যস্ত থাকলেও এ হোটেলে বিক্রির ধুম পড়েছে। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে অনেকে টক-মিষ্টি জিলাপি কিনছেন। দোকানের সামনেই টাঙ্গানো রয়েছে মূল্য তালিকা।

এতে দেখা গেছে, সাধারণ টক-মিষ্টি জিলাপি ২২০ টাকা, আমৃত্তি টক-মিষ্টি জিলাপি ২৬০ টাকা ও ঘিয়ে ভাজা স্পেশাল টক-মিষ্টি জিলাপি ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বেগুনি ১০ টাকা, আলুর চপ ১০ টাকা, ডিম চপ ১০ টাকা, চিকেন চপ ২০ টাকা, শাকের বড়া ৫ টাকা পিস ও পেঁয়াজু ৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নিমকি ২৪০ টাকা, বুন্দিয়া ২০০ টাকা, ছোলা ২০০ টাকা ও ভুগনি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শেরপুর থেকে জিলাপি কিনতে আসা এডভোকেট সামিউল ইসলাম আতাহার বলেন,এই দোকান ছাড়া ‘ময়মনসিংহের কোথাও টক-মিষ্টি জিলাপি পাওয়া যায়। তবে ঐতিহ্যবাহী এ দোকানের জিলাপির স্বাদ ভিন্ন। আমাদের জেলা বারের ইফতার মাহফিলে মেহমানদারী করার জন্য ২০ কেজি জিলাপির অগ্রিম অর্ডার দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জেলা বারে টক মিষ্টির জিলাপি নিয়ে আইনজীবিদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে । 

শহরের আকুয়া এলাকা থেকে টক-মিষ্টি জিলাপি কিনতে জাকির হোসেনের দোকানে এসেছেন ফারক হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাসার সামনেই জিলাপিসহ ইফতারসামগ্রীর দোকান রয়েছে। তবে জাকিরের দোকানের টক-মিষ্টি জিলাপির সুনাম বহু বছরের। এই জিলাপির স্বাদও আলাদা। তাই প্রতি রমজানে জিলাপি এই মেহেরবান হোটেল থেকেই কিনি।

২৫ বছর ধরে দোকানে কাজ করা গোলাপ মিয়া জানাান, ‘বিকেল হলে এখানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তাই দুপুরেই জিলাপি কিনতে চলে আসে মানুষ।  এই জিলাপির আলাদা সুনাম রয়েছে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জিলাপি কিনতে আসেন।

দেকানের মালিক জাকির হোসেন জানান, ১৯৯৩ সালে প্রথম ঘিয়ে ভাজা টক-মিষ্টি জিলাপি তৈরি করেন। এক দিন বৃষ্টির কারণে দোকানে ক্রেতা না আসায় জিলাপির জন্য প্রস্তুত করা ময়দা আর চিনি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। পরে তিনি ময়দার সঙ্গে তেঁতুল আর মাষকলাই মিশিয়ে তৈরি করেন বিশেষ ধরনের জিলাপি। ক্রেতার অভাবে দোকানের অন্য কর্মচারীদের খেতে দেন সেই জিলাপি। সেগুলো খেয়ে অনন্য স্বাদ পাওয়া যায়। পরের দিনও এভাবেই জিলাপি বানিয়ে বিক্রি করলে ক্রেতারা জিলাপির প্রশংসা করেন। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ‘টক-মিষ্টি জিলাপির প্রধান উপকরণ মাষকলাই ডাল, ময়দা এবং চালেরগুঁড়ার সঙ্গে তেঁতুল। অন্য দোকান থেকে এখানকার জিলাপি আলাদা। প্রতিবারই জিলাপি ভাজতে নতুন তেল ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন দুপুর থেকেই গরম কড়াই থেকে ভাজা জিলাপি টেবিলের ডালায় সাজানো হয়। ইফতারের আগেই সব জিলাপি বিক্রি হয়ে যায়।’ বর্তমানে তার দোকানে ১৬ জন কর্মচারী কাজ করেন। জিলাপী বিক্রি করে তিনি ফ্ল্যাট বাড়ীর মালিক হয়েছেন। শান্ত হাসিখুশি স্বভাবের জাকির আরও জানান, দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে ব্যবসা করেন। ছোট ছেলে অনার্সে পড়েন মেয়েও লেখা পড়া করছেন।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.