× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইউটিউব দেখে মালচিং পদ্ধতিতে শসা ও টমেটো চাষ করে সাফল্য শহিদুলের

মোস্তাফিজুর রহমান বদরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি ।

০৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:২১ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

রংপুরের বদরগঞ্জে ইউটিউবের ভিডিও দেখে মালচিং পদ্ধতিতে শসা ও টমেটো চাষ করে কৃষক শহিদুল ইসলাম এক অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে বাণিজ্যিকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে শসা ও টমেটো চাষ করছেন। একদিন পর পর জমি থেকে ৩৫ থেকে ৪০ মণ শসা বিক্রি করছেন ও দুইদিন পরপর টমেটো বিক্রি করেছেন ১৫ থেকে ২০ মন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে শসা ও টমেটোয় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে ভুলে জানিয়েছেন কৃষক শহিদুল ইসলাম।

জানা যায়, কৃষক শহিদুল ইসলাম রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের তালুকদার দামোদরপুর ব্যাংকডুবি আব্দুল গফুরের ছেলে। ইউটিউব দেখে তিনি প্রথমে ৪৫ শতাংশ জমিতে এগ্রো ১ শসার বীজ এনে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন। পরে আরো ৩০ শতাংশ জমিতে শষা চাষ করেন।

শহিদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ১৩৫ শতাংশ জমিতে জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা আবাদ করতে জমি ইজারা, পরিচর্যা, সেচ, বীজসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। চারা রোপণের পর থেকে দেড় মাসের মধ্যে জমিতে শসার ভালো ফলন আসে। বর্তমানে একদিন পর পর ৩৫ থেকে ৪০ মণ শসা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শসার ভালো চাহিদা থাকায় পাইকারি দরে এক মণ শসা ১ হাজার থেকে ১২শত টাকায় বিক্রি করছি। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমান বাজার একটু কম। ৯ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলন ও বাজার দর ভালো থাকলে ১ লক্ষ্য থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় হবে।

সরজমিনে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি, নাইলন সুতা আর জিআই তার দিয়ে চারদিকে মাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ছোট বড় অসংখ্য শসা মাচায় ঝুলে আছে। যে দিকে তাকানো যা য় শসা আর শসা। এছাড়াও পাশের ১৫ শতাংশ জমিতে মাচাতে রয়েছে টমেটো। নতুন করে আরো ৪০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা ও ঝিঙ্গে লাগিয়েছেন তিনি।

মালচিং পদ্ধতি কিভাবে করতে হয় শহিদুল ইসলাম জানান, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে পরিমিত জৈব সার দিয়ে সারি সারি বেড তৈরি করা হয়। মাটির উপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর স্থাপন করা হয়।পরে প্লাস্টিক শিট বা জৈব পদার্থ ব্যবহার করে মাটিকে ঢেকে রেখে সারিবদ্ধ বেডগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। বেডে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে বীজ বা চারা রোপণ করতে হয়।

শহিদুল ইসলাম আরও জানান, প্রথম দিকে এ মাটিতে শসা চাষ করে খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও নিজের সঠিকভাবে পরিচর্যায় উৎপাদনে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। শশা টমেটো চাষে কম খরচে লাভ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষের সুবিধা
মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে ।মালচিং ব্যবহারে মাটি দীর্ঘ সময় ধরে আর্দ্র থাকে, ফলে গাছের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত হয়।মালচিং স্তরের নিচে আগাছার বৃদ্ধি কমে যায়, ফলে ফসলের বৃদ্ধি আরও দ্রুত হয়।গাছকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা, শীত ও রোগবালাই থেকে সুরক্ষা দেয়। মালচিং ব্যবহারে সার মাটিতে ধরে রাখা সহজ হয়, ফলে সারের অপচয় কমে যায়।

বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ বলেন, মালচিং পদ্ধতি চাষিদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এতে সেচ কম লাগে, রোগবালাই আক্রমণ কম হয়, আগাছা নিধনেও কাজ করে।ফলন বৃদ্ধিতে সব সময় স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষকরা মালচিং পদ্ধতিতে শসা সহ অন্যান্য সবজি আবাদে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.