বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে রিমান্ড শেষে তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার আলম জামিনের জন্য আবেদন করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. সোয়েবুর রহমান আসামি আফতাব উদ্দিন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আফতাব উদ্দিন সরকার নীলফামারী-১ (ডোমার- ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। একই আসন থেকে এরপর আরও দুইবার নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি গা ঢাকা দেন।
গত ৬ মার্চ সাবেক এই সংসদ সদস্যকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, চার দিনের রিমান্ড শেষে আসামি আফতাব উদ্দিন সরকারকে আদালতে নেওয়া হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানের আদেন দেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ বুধবার রাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় তার ছেলের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি গা ঢাকা দেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট রংপুর রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি। এছাড়াও নীলফামারীর ডিমলায় হত্যাচেষ্টা এবং নীলফামারী সদর থানায় তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাহামুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ। এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।