ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভের আড়ালে শাহবাগ রিফর্মেশন বন্ধের দাবিতে মধ্য রাতে উত্তাল চবি। ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে শাহবাগের কসাই লাকি আক্তারের সম্পৃক্ত হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
গতকাল রাতে লাকি আক্তারের কিছু ছবি ও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জন অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ঢাবি এবং রাবির পাশাপাশি চবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষুব্ধ মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে একত্রিত হয়।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ মশিউর রহমান সোহাগ বলেন, হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা দিয়েছে শাহবাগ, বাংলার জমিনে আর দ্বিতীয় শাহবাগ কায়েম হইতে দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, প্রিয় সহযোদ্ধারা রাত দুইটার সময়ে চবির রাজপথের এই জনস্রোত প্রমাণ করে বাংলাদেশ ঘুমায়নি, জুলাই যোদ্ধারা ঘুমায়নি। যত অপচেষ্টাই করুক আমরা আওয়ামী রেজিম কে ফিরে আসতে দিবো না, শাহবাগ কে ফিরে আসতে দিবো না, জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে দ্বিতীয় শাহবাগ কায়েম হবে না।
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলি ওবায়দুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে এক কালো অধ্যায়ের সুচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন করে শাহবাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করে মব তৈরি রায় পরিবর্তনের সংস্কৃতি চালু করেছে শাহবাগ। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েগেছে শাহবাগ। ফ্যাসিবাদের দোসর শাহবাগ কে আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তৃতা প্রদান করেন অন্যান্য ছাত্রনেতারা, শিক্ষার্থীদের মিছিলের "রক্তে আবার লাগা জোর, শাহবাগের কবর খোড়" "ওয়ান টু থ্রি ফোর, শাহবাগ নো মোর" "ল-তে লাকি, তুই হাসিনা তুই হাসিনা" " তের না চব্বিশ, চব্বিশ চব্বিশ" প্রভৃতি স্লোগান প্রকম্পিত করে তোলে ক্যাম্পাস।