পটুয়াখালীতে আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মেডিকেল অফিসার ডা. ভুপেন চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনটি হয়।
এ ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ২,৫১,৯৮৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৬,৯৭৩ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ২,২৫,০১৩ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল দেওয়া হবে। ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নে ১,৮২৮টি কেন্দ্রে মোট ৪,৬৭৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন, যার মধ্যে ৫১টি দুর্গম এলাকা রয়েছে।
বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক কাইয়ুম এবং মাছরাঙা টিভির চিন্ময় কর্মকার দুর্গম এলাকার শিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ এবং প্রতি বছর ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিভিল সার্জন জানান, দুর্গম এলাকাগুলোকে Hard to reach Area হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রতি বছরের জন্মহার ও মৃত্যুহারের শিশুর সংখ্যা পরিবর্তন না হওয়ার কারনে সংখ্যাগত তারতম্য লক্ষ হয় না।তবে বিষয় টি নিরক্ষন করা হবে।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ক্যাম্পেইনের সঠিক তথ্য প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। সিভিল সার্জন আরও বলেন, টিকা কার্যক্রমের দায়িত্ব পৌরসভার এবং সঠিকভাবে টিকা পৌঁছানোর দায়িত্ব সিভিল সার্জন অফিসের। তিনি জানান, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডে বিশেষ ক্যাম্প থাকবে, যাতে ভ্রমণরত শিশুরাও টিকা নিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।