× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর রিপোর্টে এলো তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন; ডায়গনস্টিক সেন্টারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

ময়মনসিংহ ব্যুরো।

১৪ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

অন্তঃসত্ত্বা  নিশ্চিত হতে এক নারীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফির জন্য পাঠান চিকিৎসক। পরীক্ষায় রিপোর্ট আসে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এ ঘটনার ১২ দিনের ব্যবধানে ফের অন্য এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে আসে তিনি সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একজন নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তিনি 'টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক' সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আলট্রাসনোগ্রাফি করান।

ভুক্তভোগী নারী গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারীর দেওয়া আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাঁকে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার জন্য টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়। পরীক্ষার পর একজন নারী চিকিৎসক তাঁকে নিশ্চিত করে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হননি। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১১ মার্চ' নিউ প্রান্ত ডিজিটাল ল্যাব' নামে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করান ওই নারী। এতে ধরা পড়ে সাড়ে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। এদিকে আগের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুয়া রিপোর্ট শুনেই ক্ষিপ্ত হন ওই নারী।

ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,' আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। কারণ, আজকে আমার সাথে হয়েছে, আরেকদিন আরেকজনের সাথে হবে। এদের উপযুক্ত শাস্তি না হলে এরা পার পেয়ে যাবে।' তবে আইনি জটিলতার ভয়ে তিনি কোন লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হননি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী চিকিৎসক বলেন, 'আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাজ হচ্ছে মানুষকে খোঁচানো। আপনি টপ কেয়ারে গিয়ে কথা বলেন। আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিনা।'

এদিকে রিপোর্ট দেখানোর পর টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. ওয়াজিন ভুল স্বীকার করে বলেন, 'এটা তো মারাত্মক ভুল করেছে চিকিৎসক। একটা রিপোর্ট আকাশ-পাতাল ব্যবধান কিভাবে হয়। ভুলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন,' আমি টিএইচওর সাথে কথা বলেছি বিষয়টি নিয়ে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.