পৌর এলাকার মুড়িরগুল গ্রামের ফয়জুল ইসলাম জানান,শিলাবৃষ্টিতে আমার ঘরের পুরো টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে।আমি নিম্নবিও মানুষ রোজ আনি রোজ খাই।আমার ঘর পুনরায় ঠিক করতে হলে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার প্রয়োজন। আমি হঠাৎ এই দূর্যোগের কারনে অসহায় হয়ে পড়েছি।আমার দুই ছেলে তাদের কোনো আয় রোজগার নেই।আমি দিনমজুর হিসেবে যা রোজগার করি তা দিয়েই আমার সংসার চলে।এমতাবস্থায় আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মোহাম্মদ নগর গ্রামের গণমাধ্যমকর্মী শাহরিয়ার শাকিল জানান,আমাদের এলাকায় পৌর শহরের এলাকা গুলো থেকে কম শিলাবৃষ্টি হয়েছে তাই অন্যান্য এলাকা থেকে আমাদের এলাকায় কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুছেগুল গ্রামের ফরহাদ জানান,আমাদের এলাকার অনেক মানুষের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে।পাশাপাশি ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বিশেষ করে যারা টমেটো, কাচামরিচ,লেবু, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
পানিধার গ্রামের মাহফুজ জানান,আমরা নামাজে ছিলাম,হঠাৎ ভয়ানক শব্দে কেঁপে উঠি।নামাজ শেষে দেখি প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি। চারিদিকে শুধু বরফের পাথরে বিস্তীর্ণ। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেকের বাড়ির টিনের চালা ফুটো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দরগাবাজার এলাকার রিন্টু স্যার জানান,হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।আমাদের আশেপাশের অনেকের বাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়েছে।তাদের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা সচ্ছল না।তারা অনেক বিপাকে পড়েছে।
বড়লেখা উপজেলার কৃষি অফিসার মনোয়ার হোসেন জানান,হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।তবে কৃষকরা শীতকালীন সবজি অনেকটাই তুলে ফেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।যারা শীতকালীন সবজি দেরিতে রোপন করেছেন তারা একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বিশেষ করে ভুট্টা, শশা,টমেটো, কাচামরিচ এগুলা এখনো জমিতে আছে, এসব ফসলের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।