কক্সবাজারের মহেশখালীতে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী রমজান আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহেশখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান আলী হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
শনিবার সকালে আটক রমজান আলীকে পুলিশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রমজান আলী। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে স্ত্রীর লাশ খাটের ওপর রেখেই বান্দরবানে পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ঘাতক রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নিহত সুমাইয়া আক্তারের মা এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, তিন বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজানের বিয়ে হয়। মাস তিনেক পর থেকেই নানা অজুহাতে রমজান সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে আবারও রমজান আলী তাঁর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করেছেন।
নিহত সুমাইয়ার স্বজন মোহাম্মদ ছৈয়দ কবির বলেন, গতকাল সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খাটের ওপর লাশটি দেখতে পায়। এ সময় সুমাইয়ার দুই বছরের মেয়ে পাশে ঘুমাচ্ছিল।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী তাঁর স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে শনিবার সকালে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।