× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইউএনও অফিসে জামায়াত নেতাদের মারধর

ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি, উল্টো‌ ইউএনও অফিস চত্ত্বরে বিক্ষোভ

রাকিব হাসনাত,পাবনা প্রতিনিধি।

১৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫৭ পিএম । আপডেটঃ ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫৭ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

পাবনা সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লাঞ্ছিত ও তার রুমে‌ই জামায়াত নেতাদের মারধরের ১০ দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি। উল্টো ইউএনওর অফিস চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেছেন অভিযুক্তরা। এতে ইউএনওর অফিসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে শনিবার সুজানগর পৌর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে একটি মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা নানা আপত্তিকর শ্লোগান দেয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, আব্দুল মান্নান, বাবু মোল্লা, নবী মোল্লা, শফিকুল ইসলাম, ইকরাম হোসেন মধু প্রমুখ। 

পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ছিল ইউএনওর। কিন্তু ইউএনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা মামলা করেছি। আমরা কোন দলের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। করে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তদন্ত করে যে ব্যবস্থা হয় গ্রহণ করুক। যদি সেই অভিযুক্তরাই আবার উল্টো ইউএনও অফিস চত্ত্বরে মিছিল করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাহলে এর জন্য প্রশাসনের ব্যার্থতা বলে মনে করি।

পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সুজানগরে ইউএনও অফিসে আহামরি কোন ঘটনা ঘটেনি, সেখানে রক্তপাতও হয়নি। এ ঘটনার জন্য সম্পুর্ণ দায়ি  হলেন ইউএনও। কারণ ওনি জামায়াত নেতাদের নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বৈঠক করে আর বিএনপি নেতাদের সময় দিতে গড়িমসি করেছেন। ওনি যদি বিএনপি নেতাদের সময় দিতেন তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। ওখানে মামলা হওয়ার মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। 

তিনি আরও বলেন, এখানকার ঘটনায় মনে হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে কি যেন কি হয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। আজকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এটাতো নাগরিক অধিকার তাই না। ওখানকার ঘটনায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। দেশে এতো আওয়ামী লীগ থাকতে,  এদের না ধরে বিএনপি নেতাদের ধরতে যাচ্ছে এটা কোনভাবেই ঠিক না। আর কেন্দ্র যে ওদের বিরুদ্ধে নোটিশ দিয়েছে তারা না বুঝেই দিয়েছে। তারাতো (কেন্দ্র)  আমার থেকে কোন কথাই শোনেনি। 

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেনি তবে অফিস চত্ত্বরের দিকে কিছু লোকজন বিক্ষোভ করেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। গতকালও তাদের বাড়িতে অভিযান হয়েছে। আইন আইনের গতিতে চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদকে তার রুমেই মারধর করতে যান অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা। এসময় বাধা দিলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে মারধর করেন তারা। এ ঘটনায় ৭ মার্চ রাতে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সেক্রেটারি মো. ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবর রহমান খাঁ, মো. মানিক হোসেন খাঁ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবু খাঁ ,আরিফ শেখ ও আব্দুল বাসেদ বাঁশি শেখ নামে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সগঠনের ৫ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে এই ঘটনায় সারা দেশ তোলপাড় হলে ৪ মার্চ অভিযুক্ত নেতাদের শোকজ নোটিশ দেয় বিএনপি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব চাওয়ার সেই নোটিশ ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি। তবে সম্প্রতি সেই নেতাদের দেয়া 'সতর্কীকরণ' চিঠি‌ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.