সাবেক স্ত্রী নুরে জান্নাত আশার কারসাজিতে টিসিবি কর্মকর্তা মায়ুন কবির বিপাকে পরেছেন। জানা যায় ২০১২ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নুরে জান্নাত আশার সাথে সরকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের। তাদের দাম্পত্য সংসার সুন্দরভাবে চলছিল। ২০১৮সালে এই দম্পত্তির ঘরে আসে কন্যা সন্তান ৷ স্বামী বড় সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় স্ত্রীকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার জন্য ভর্তি করিয়েদেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠি এহতাশামুল হকের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয় নুরে জান্নাত আশা ৷ বিষয়টি জানাজানির পর ছোট মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে পারিবারিক ভাবে স্টাম্পে সই নিয়ে নুরে জান্নাত আশাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় ৷ স্বামী অফিসে যাওয়ার পর নুরে জান্নাত আশা পরকীয়া প্রেমিকের সাথে রঙ্গ লীলায় লিপ্ত হোন ৷ এর বহু ছবি ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে ৷ নুরে জান্নাত আশা আইটি এক্সপাট ছিলেন স্বামী কখন কোথায় থাকতো মোবাইল ট্রেকিং করে রাখতেন, পরকীয়া প্রেমিক এহতাশামকে নিয়ে যতসব অপকর্ম করে গেছে নুরে জান্নাত আশা ৷
পারিবারিকভাবে উভয়ের আত্মীয়-স্বজন এ নিয়ে নূরে জান্নাত আশাকে অনেকবার বোঝানোর পরেও সে ওই ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হতেই থাকে। ২০২৪ সালে স্বামীকে না জানিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের কাছে ফিনল্যান্ড চলে যান ৷ উপায়ান্তর না পেয়ে তাকে পারিবারিকভাবে এবং শরিয়া মোতাবেক ডিভোর্স প্রদান করা হয়। এ বিষয়টি হুমায়ুন কবির তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান।
এছাড়াও ডিএমপির শাজাহানপুর থানায় একটি জিডিও করেন। ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর থেকে নুরে জান্নাত আশা ওই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো সহ বিভিন্ন জায়গা যেমন মিডিয়া, দুদক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সম্মানহানি করে।
সরকারি কর্মকর্তার বলেন আমার সাবেক স্ত্রী নুরে জান্নাত আশা সাবেক স্বাশুরী নাসরিন পারভীন, চাচী স্বাশুরী উকিল সেলিনা আক্তার যোগসাজে এমন কোন অপকর্ম নাইযে করে নাই ৷ তারা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও ধার নিয়েছে। এই টাকাটা যেন দিতে না হয় এজন্যই সে বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করছে।
চৌহালী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, কর্মচারী নাসরিন পারভীনের বাড়ি ঘর যমুনা নদী গর্ভে চলে যায়, নদী ভেঙ্গে নেওয়ার পর, সরকারী জমি দখল করে ১০শতক জমিতে তিন তলা ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং নির্মান করে বাড়ি নাম দিয়েছে স্বপ্ন নীড় ৷
হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে তাহার মেয়ের করা অভিযোগের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন আমি এইসবের কিছু জানিনা, যেহেতু আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে, তাই মানসম্মানের কথা ভেবে চুপ রয়েছি ৷ হুমায়ুন কবির আরো বলেন আমার সাবেক স্বশুর বাড়ি করার সময় আমার কাছ থেকে তাহার মেয়ের মাধ্যমে ৪০লক্ষ টাকা দার নিয়েছে, নুরে জান্নাত আশা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ৷
এই সকল বিষয়ে নুরে জান্নাত আশাকে তার ফিনল্যান্ডের নাম্বারে হোয়াটস এ্যাপ করা হলে, উনি সিন করেন, পরবর্তীতে প্রতিবেদককে কোন উত্তর প্রদান করেননি ৷ সরকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন করিরের অভিযোগের বিষয়ে শাহজাহানপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে ৷