ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্বের জের ধরে দুই গ্রæপের সংঘর্ষ এবং বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া যায় । রোববার সন্ধ্যার দিকে ইফতারির পরে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আহতের খবর পাওয়া যায় নাই ।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আসাদ মাতুববরের সমর্থক আফতাব মৃধা ও জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীরের সমর্থক তুরাপ মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এরআগে সালথা বাজারে স্থানীয় হারুন মাতুব্বরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাগবাড়ি এলাকায় একটি দোকানের সামনে ফের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় জাহাঙ্গীরের কয়েক সমর্থকের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হয় বলে জানা যায়।
অভিযোগ আছে, ইফতারির পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে গেলে হারুন মাতব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে তুরাফ মৃধা কে ধাওয়া দিলে তুরাফের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং কয়েকটি বাড়ি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না, যে কারণে সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানি। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি প্রোগ্রামে এলাকার লোক আসলে পরে আসাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে।
এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান, জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে। আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।
ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য। জানতে পারি বাগবাড়ি দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে তুরাফ মুধা কে হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তিন চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।