খুলনার কয়রায় সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর বসতবাড়ি দখলের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মিনহাজ দিপুর ওপর হামলা চালিয়েছে সুন্দরবনের আলোচিত জলদস্যু ও একাধিক মাদক মামলার আসামি আবু জাফর ছোটন এবং কয়রা বাজারের ইয়াকুব আলীর ছেলে বাইজিদ হোসেন।
কয়রা উপজেলা পরিষদের সামনে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক মিনহাজ দিপুকে ডেকে নিয়ে একটি দোকানে আটকে রেখে তাকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তিনি কয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে পুলিশের সামনেই অভিযুক্তরা আবারো তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হয় এবং গলায় থাকা প্রেস আইডি কার্ড ধরে টানাহেঁচড়া করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় মাদক কারবারি ও জলদস্যু আবু জাফর ছোটন বলেন, "মনি ফকির মামা মারতে বলেছেন।" পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত সাংবাদিক বর্তমানে কয়রা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মনি ফকিরের ছেলে মারুফের নেতৃত্বে খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর বসতবাড়ি দখল করে সেখানে একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু করা হয়। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় বিএনপি নেতা মনি ফকির ক্ষুব্ধ হন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এর আগেও সাংবাদিক মিনহাজ দিপুর বড় ভাই ও বাবাকে সংবাদ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন। এবার সরাসরি তার ভাগ্নে, মাদক কারবারি আবু জাফর ছোটনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে।
কয়রা থানার ওসি ইমদাদুল হক বলেন,বিষয়টি জেনেছি।ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল টিম ছিল।থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনার পর সাংবাদিক মহলসহ স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।