দরিদ্রদের মধ্যে ভিজিএফ এর ১০ কেজি বরাদ্ধ চালের পরিবর্তে নিজের অনুগত লোকদের ৩০ কেজি চালের বস্তা প্রদানের অভিযোগ ওঠার পর জুড়ীর সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শরফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ (১৭ মার্চ) উপজেলা মৎস্য অফিসারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়। অভিযুক্ত শরফ ওই ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক। এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছেন তিনি।
'দায়িত্বরত চেয়ারম্যান সরকারের বরাদ্দকৃত চাল সমবন্টন না করে নিজের অনুগত লোকদের অতিরিক্ত দিয়েছেন' এরকম একটি ভিডিও প্রমাণসহ স্থানীয় বাসিন্দা সামস উদ্দিন গত রোববার জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অতিরিক্ত চাল নেয়ার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে প্রচুর সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
তবে অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান শরফ উদ্দিন সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছেন। তিনি বলেন, চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল এত ভাল একটি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
জুড়ীর ইউএনও বাবলু সূত্রধর জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।