তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। এই সময় তাদের হেফাজতে থাকা চুরি যাওয়া ৪ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৮ মার্চ) দুপুরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নাটোর বড়াইগ্রামের পূর্ণ কলস উত্তরপাড়ার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে মো. রিদয় মোল্লা (২৩), একই জেলার সিংড়া উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার সামজাদ ফকিরের ছেলে মো. আরমান ফকির (৩৮) ও পাবনার বাহাদুরপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. রাজিব হোসেন (৩১)। এর আগে সোমবার রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেলগুলোর মধ্যে একটি ১০০ সিসি বাজাজ ডিসকোভার, একটি ১২৫ সিসি বাজাজ ডিসকোভার, একটি ১৩৫ সিসি বাজাজ ডিসকোভার ও একটি আরটিআর রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ঈশ্বরদী শহর ও উপজেলার গ্রামগুলোতে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটর সাইকেল রেখে পেছন ঘুরলেই চুরি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধিসহ চোর চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার ও তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন জনের চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলগুলো উদ্ধার হওয়ায় কিছুটা হলেও চুরি বন্ধ হবে আশাবাদী মোটর সাইকেল মালিকরা।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান-গত ৯ মার্চ উপজেলার সলিমপুরের জগনাথপুর গ্রামের শান্টু আলী খানের দোকানের কর্মচারী বাপ্পি হোসেন মুলাডুলির ফরিদপুর জামে মসজিদে মোটর সাইকেল নিয়ে তারাবারি নামায আদায় করতে যান। সেখান থেকে দোকানের মালিক শান্টু আলী খানের মোটর সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনা একটি চুরি মামলা হয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ও ঈশ্বরদী থানার এএস আই ওবায়দুলের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তাদের নিকট থেকে চারটি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।
গ্রেফতারকৃতদের পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।