ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাঠ পর্যায়ে সূর্যমূখি ফুল চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন স্থানিয় কৃষকরা। কৃষকের নিজ রান্নার জন্য তেলের ঘাটতি পূরনের পাশাপাশি বিক্রি করে মিলছে আর্থিক ঘাটতি। বীজ থেকে তেল উৎপাদন ছাড়াও সূর্যমূখি ফুলের গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন কৃষক। এতে একাধিক দিক থেকে লাভবান কৃষকরা ঝুঁকছেন সূর্যমূখি ফুলের চাষের দিকে।
ফসলি জমির দিকে তাকালে হলুদ রঙের সূর্যমূখি ফুলের মাঠে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে আসে। দূর থেকে যে কারোই দৃষ্টি কাড়বে। দূরদূরান্ত থেকে শহুরে মানুষের চোখের খোরাক জোগাতে বিনোদনের জন্য দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন সূর্যমুখি ফুল দেখতে। দর্শনার্থীদের ভীড়ে যারপরনাই কৃষক বিরুক্ত হলেও নিজেও ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন আনন্দ।
সূর্যমূখি ফুলের মাঠ দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সাথে আমাদের কথা হয়। তারা সবাই উৎফুল্ল ও আবেগতাড়িত হয়ে এসেছেন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন। স্থানিয় কৃষক মো. আলী বলেন, আগেও আমরা যে ফসল করতাম তাতে লাভের মুখ দেখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হতো। সূর্যমূখি ফুল চাষে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না।
কৃষক সাগর মিয়া বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমরা সূর্যমূখি ফুল চাষে আগ্রহী হই। গত কয়েক বছর ধরে সূর্যমূখি ফুর চাষ করছি। এতে নানা দিক থেকেই লাভবান হচ্ছি আমরা। কৃষক শিমুল মিয়া বলেন, কয়েক বিঘা জমি জুড়ে সূর্যমূখি চাষ করেছি। সূর্যমূখি ফুলের তেলের চাহিদা আগের চেয়েও এখন অনেক বেশি। গ্রামের বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সূর্যমূখি তেল।
কৃষক স্বপন মিয়া বলেন, সূর্যমূখি ফুলের বীচ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না। পাইকাররা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যায়। তাছাড়া আগের চেয়ে এখন দামও পাই বেশি।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করি ফলন যেনো ভালো হয়। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত দেখে আসি, পরামর্শ দেই। প্রয়োজনিয় ঔষধ ও বীজ দিয়ে কৃষককে সহায়তা করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, কৃষি অধিদপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সব সময় কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশ দেই। যাতে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ফসলের কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সার, বীজ, ঔষধ সরবরাহ করাসহ মাঠ পর্যায়ে বীজ রোপন থেকে শুরু করে কৃষকের ঘরে ফসল তোরে বিক্রি করা অবধি পরামর্শ দিয়ে থাকি।