পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগকর্মী ওয়ালিফ হোসেন মানিক (২৮) হত্যা মামলার এজাহার নামী প্রধান আসামী সৌরভ হাসান টুনটুনি ওরফে হাতকাটা টুনটুনিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (২৪ মার্চ) সকালে পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অপর দুই আসামী হলেন সৌরভ হাসান টুনটুনি ওরফে হাতকাটা টুনটুনির আপন ছোট ভাই মো. মেহেদী হাসান শাওন (২৬)। তারা ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড়বাঘইল গ্রামের মো. তানজির আহমেদ তুহিনের ছেলে। অপরজন হলেন- একই এলাকার মো. ফজলুর ছেলে মো. সুইট (২৬)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর/২৪ সালে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল রুপপুর পাকার মোড়ের মো. ইউনুস আলীর ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ওয়ালিফ হোসেন মানিককে নিজ বাড়ি সংলগ্ন মক্কা হোটেলের পেছনে একই এলাকার সৌরভ হোসেন টুনটুনিসহ তার সহযোগীরা মানিককে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত মানিকের বাবা ইউনুস আলী বাদী হয়ে সৌরভ হোসেন টুনটুনি সহ এজানামীয় ১২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে পরের দিন ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলা নং-২৬।
মামলার তদন্তকারী রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নয়ন কুমার সাহা জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামি টুনটুনি সহ প্রধান কয়েকজন আসামি পলাতক ছিল।
তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে পাবনা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পাবনা এবং ঈশ্বরদী সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) পাবনার তত্ত্বাবধায়নে, অফিসার ইনচার্জ ঈশ্বরদী থানার নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানা ও রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ির সমন্বয়ে একটি চৌকস দল পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকা হতে মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরোও জানান, এই মামলায় ইতিপু্রে এজাহার নামীয় আরোও ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, আসামীদের পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত যুবলীগকর্মী ওয়ালিফ হোসেন মানিকের নেতৃত্বে যুবলীগকর্মী সৌরভ হাসান টুনটুনির বাম হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলা ও তার ছোটভাই তাফসির আহমেদ মনাকে হত্যা করা হয়। এসব মামলার প্রধান আসামী ছিলেন নিহত মানিক।