ছবিঃ সংগৃহীত।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুুক্তি পান। দীর্ঘ ৪ মাস ১১ দিন কারাভোগ করে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান মাতাব্বার। তিনি জানান আমাদের ঐতিবাহী বিশাল খউস্বর ঘোষ্টির এক হাজারের বেশি লোকজন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের অধিক সময় ধরে নিবার্সিত জীবন -যাপন করেছি এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মহেশখালীর প্রথম শহীদ আমার স্নেহের ছোট ভাই তানভীর ছিদ্দিকী। এর পরেও আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নাই।
এদিকে তার মুক্তি খবর তার নিজ এলাকা মহেশখালীসহ কালারমারছড়া পৌছলে স্থানীয় লোকজন গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার সময় আতশবাজি পুঠিয়ে আনন্দ মিছিল বাহির করেছেন। এতে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শত শত লোকজন অংশ নেন।
গত ১৪ নভেম্বার ভোর সকালে উপজেলার কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা নিজ বাগিতে কোষ্ট গার্ড সদস্যদের একটি নাটকীয় অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান।
মুক্তি পাওয়ার পর জিয়াউর রহমান মাতাব্বার কে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মহেশখালী বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মোস্তফা, কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ক.ম আলমগীরসহ নানা স্থরের নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে,বিএনপি সহযোগী সংগঠনের এ যুবদল নেতা জিয়া একমাত্র বিএনপিকে সমর্থন করায় ৩৫ বছর বয়সের ১৭ বছরই হয়েছেন নির্যাতিত। শুধু জিয়া নয় কালারমারছড়ার ঐতিহ্যবাহী ও জমিদার খউস্বরো পরিবারের প্রায় সকলেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার আ.লীগের রোষানলে পড়েছে। কারণ তাঁদের দুই শতাধিক পরিবারের প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ বিএনপিকে মনে প্রাণে সমর্থন করে ভালবাসে।
রাজনীতির মাঠে যুবদলকে যৌবনের প্রথম প্রেম মনে করা এ যুবকের অর্ধেক জীবনই কেটেছে অসহ্য যন্ত্রণা আর দুর্বিষহ। জিয়ার দাদা বিএনপি তথা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে ভালবাসতেন বলে আজকের সকলের জিয়া যখন ভূমিষ্ট হয়ে পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখেন টিক সে সময়ে নাতীর নাম রাখেন জিয়াউর রহমান। এটাই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তথা বিএনপির সাথে যেন প্রেমের টান নাড়ির টান।
স্থানীয়রা জানান- দীর্ঘদিন নির্যাতন সয়ে জুলাই-আগস্টের ছাত্রজনতার গণবিপ্লব হলে বিশাল ঘোষ্টির সপরিবারে এলাকায় ফিরেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার খউস্বরো পরিবার। আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষের লোকজন যা ঘর পুড়িয়ে দিয়ে দোষর মরভূমিতে পরিনিত করেছিল সে শত শত ঘর গুলো এখনো পরিপূর্ণ করতে পারেনি। সেখানে ষড়যন্ত্রের বীজ বুপন করছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন। আর এলাকায় ফিরেই জিয়া হাত দেন সমাজের নানা অসংগতিতে। হাসিনার দোসররা যাতে কোনো গুপ্ত হামলা চালাতে না পারে সেজন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করে রাতভর মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় পাহারা রেখেছেন৷ এ ছাড়াও তাঁর পরিবার কালারমারছড়ার জমিদার বংশ, তাঁকে কেনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে? প্রশ্ম সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
যুবদল নেতা জিয়া এত জনপ্রিয় কেনঃ-
অপরদিকে যাপিত সময়ে শুনে এসেছি, জিয়া রহমান অনেক জনপ্রিয় একজন ঠগবগে তরুণ নেতা। কক্সবাজারের দেখা হলে কালারমারছড়ার মানুষেরা তার জনপ্রিয়তার কথা জানাতেন। শুধু কালারমারছড়ার মানুষ নয়; মহেশখালীর উপজেলা; বিশেষ করে উত্তর মহেশখালীর মানুষগুলো জিয়ার অনেক জনপ্রিয়তার বয়ান করতেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh