খুলনার ডুমুরিয়ায় মির্জাপুর থিয়েখালের কচুরিপানা স্বেচ্ছায় অপসারণ করেছে এলাকাবাসী। এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক জনতা একাজে অংশ গ্রহন করে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশাল এই কর্মকাণ্ড চলে। ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে স্বেচ্ছায় কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন মির্জাপুর থিয়েখালে কচুরিপানা জন্মে থাকার কারণে চলতি বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে সিমাহীন বিপাকে পড়েছে এলাকার কৃষক। ওই অঞ্চলে প্রায় ৩’শ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। যেখানে কয়েক হাজার মৎস্য ঘের আছে। চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। কিন্তু নদীতে কচুরিপানা থাকার কারণে ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলো এ অঞ্চলের মানুষ। যার কারণে এলাকার মানুষ শতস্ফুর্তভাবে নৌকা-ডিঙ্গি নিয়ে যে যারমত ঝাফিয়ে পড়ে থিয়ে খালে কচুরিপানা নিধণযজ্ঞে। মির্জাপুর ব্রীজ থেকে থিয়েখাল ও ডানিখালে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে। যা সরকারিভাবে অপসারণ করতে ৫লাখ টাকার বেশি খরচ হতো। এবিষয়ে সাংবাদিক এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই বিলে হাজার হাজার মৎস্য ঘের, সবজি ও বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। এবিলের ধান আনার একমাত্র পথ থিয়েখাল। খালটি কচুরিপানায় আটকে পড়ায় দীর্ঘদিন নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। যার কারণে এলাকার সর্বসাধারণকে সাথে নিয়ে কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে। নির্বিগ্নে ধান-মাছ আনার উপযোগি হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন মহাখুশি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, যে কোন ধরণের জনকল্যাণমূলক কাজে স্থানীয় জনগণের যে শতস্ফুর্ত অংশগ্রহন, সেটাকে আমি স্বাগত জানাই। উনারা একটি মহৎকাজ করেছেন। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে আরো যা করণীয় সেটা আমি চেষ্টা করবো।