ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মো. আব্দুল বাতেন পুলুকে মারপিট করে পুলিশে দিয়েছে বিএনপি নেতারা। আজ (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের ভিতরে কুশমাইল ইউপি সদস্য যুবদল নেতা আবুল কালাম, কৃষক দল নেতা ফজলুর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী চেয়ারম্যানকে মারপিট করে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কুশমাইল ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন মো. আব্দুল বাতেন পুলু। বিভিন্ন উন্ননয়ন প্রকল্প ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভিজিএফের চাউল নিয়ে যুবদল নেতা আবুল কালাম মেম্বারসহ অন্যান্য মেম্বারদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচির মতবিনিময় সভা শেষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বের হয়ে আসেন। পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে আসলেই যুবদল নেতা ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম ও কৃষক দল নেতা ফজলুসহ কয়েকজন মিলে চেয়ারম্যানকে আটক করে টেনেহিঁচড়ে পাঞ্জাবি ছিড়ে, মারপিট করেন। পরে উপস্থিতি লোকজন তাকে উদ্ধার করে পরিষদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। এ সময় উপজেলা পরিষদের ভিতরে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ সেবা গ্রহিতাদের মঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
যুবদল নেতা ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, চেয়ারম্যান আওয়ালীগের দোসর, সে পলাতক ছিলেন। আজ তাকে উপজেলা পরিষদের ভিতরে খোঁজ পেয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে নেতাকর্মীরা। মারপিট করা হয় নি, টানাহিঁচড়ার সময় তার পাঞ্জাবিটা ছিড়ে যায়।
চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন পুলু বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় বিএনপি নেতা ইউপি সদস্যরা আমার কাছে ১০ লাখ চাঁদা চেয়েছিল, দেইনি বলে আমাকের মারপিট করে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইদুল হক বলেন, চেয়ারম্যানদের সাথে চল্লিশ দিনের কর্মসুচির বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভা শেষে চলে যাওয়ার পর একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে শুনেছি।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি মোহা. রোকনুজ্জামান বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানকে গত ৪ আগস্টের ঘটনার মামলা গ্রেপ্তার করা হয়েছে।