দৈনিক সংবাদ সারাবেলা'য় সংবাদ প্রকাশের পরই বদলি করা হলো গোদাগাড়ীর আলোচিত সেই নারী কেলেংকারী করা উপজেলা উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান'কে।
সম্প্রতি গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও তার কাজের মেয়ে রুবিনা'কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দৈনিক জনকণ্ঠ'র গোদাগাড়ী প্রতিনিধি মো: অলিউল্লাহ্-সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের কর্মী। ঘটনার পর তারা সংবাদ প্রকাশ করেন৷ প্রকাশিত সংবাদ সহ সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও'র যোগসাজশে দেয়া হয় সংবাদকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা। মামলার পর সাংবাদিকরা জামিন পেলেও প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহল থেকে চলতে থাকে একের পর হুমকি। এরই প্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধসহ দোষী কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন গেটে গোদাগাড়ীর স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও গোদাগাড়ীর সাধারণ জনগণ ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দৈনিক সংবাদ সারাবেলা অনলাইনে "সংবাদ প্রকাশের জেরে মামলা, প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। দৈনিক সংবাদ সারাবেলা ছাড়াও রাজশাহীর স্থানীয় ও জাতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয় সংবাদ। এর পরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বদলি করা হয় উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান'কে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) উম্মে কুলসুম সম্পা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে হাফিজুর রহমানকে উপজেলা উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থেকে বাগমারায় (সংযুক্তি) উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে বদলি করা হয়।
বদলি করা হলেও গোদাগাড়ীর সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক সমাজ হাফিজুর রহমান'র উপযুক্ত শাস্তি না হওয়াতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।