বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, এখন ফেইসবুকে তামাশা শুরু হয়েছে। ছেলেরাও ফেইসবুকে অ্যাক্টিভ। অনেকেই ফেইসবুকে লিখেন, ড. ইউনূস পাঁচ বছর থাকবেন, না তিন বছর থাকবেন, না নির্বাচন হবে। আর আমরা যারা জাতীয়তাবাদী দল এখন কিছুটা অনলাইনে ফেসবুকে প্রচারণায় পিছিয়ে আছি। আমাদের চেয়ে একটা ধর্মীয় দল আছে, তারা অনেক এগিয়ে গেছে। বাচ্চা ছেলেদের দলবলও এগিয়ে আছে।
আমি তাদের নেতার একটি বক্তব্যর সমালোচনা করে, ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। হায়রে সর্বনাশ, আমাকে রাজনীতি শেখানো শুরু করে দিয়েছে। এটা আমাদের বিএনপির মধ্যে নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন,এখন হচ্ছে ফেইসবুকের যুগ, মোবাইলের যুগ, এটাতে যদি আপনি জিততে পারেন তাইলে মাঠে জিতবেন। সেজন্য দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী শুভাকাঙ্ক্ষীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে ।
আজ (৯ এপ্রিল) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর বাজারে কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসের রহমান বলেন, আজকের এই ইউনিয়ন সম্মেলন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই একটি ট্রায়াল। মেট্রিকের পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা দিতে হয়, এটা টেস্ট পরীক্ষা। কারণ ২০০১ সালের পরে দেশে ২৪ বছরে কোন সুষ্ঠু ভোটাভুটি হয় নাই। ২০০৮ সালে ঠিকই ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু আপনার ভোটকে নৌকার ভোটে কাউন্ট করা হয়েছে। ধানছড়ার ব্যালটের ভোটকে নৌকার ভোট দেখিয়ে তখন মহসীন আলীর মতো ব্যক্তি এম সাইফুর রহমানকে হারিয়েছিলো। কোন পাগলও এটা বিশ্বাস করবে না। সাইফুর রহমান তার মতো ব্যক্তির কাছে হেরেছেন। নির্বাচনের পর আমাকে অনেক সেন্টারের প্রিজাইডিংরা এসে বলেছে, গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ধানের ভোটপড়া ব্যালট নৌকার বান্ডিলে নিয়ে বলেছে, নৌকার ভোটে কাউন্ট করার জন্যে। মানে সাইফুর রহমানের ভোটকে নৌকার ভোট হিসেবে কাউন্ট করো। এভাবে হয়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তো ভোটই হয় নাই। আর ২০১৮ সালে আমরা গিয়েছিলাম, মনে করেছিলাম ভাল ভোট হবে। আরে ওই সময় তো আগের দিন রাতেই ভোট দিয়ে দিয়েছে। আর ২০২৪ এ তো হয়েছে ডামি নির্বাচন। এখন আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের জন্য দৌড়ঝাপ দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন হবে। তার আগে আমরা আমাদের দলের মধ্যে নির্বাচন শুরু করেছি। আমাদের দল যে গণতান্ত্রিক দল এটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসি মিছবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, বিএনপি নেতা আয়াছ আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করেন। এতে কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে শেখ কামাল আহমেদ ২৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ছিলেন বশর আহমদ তার প্রাপ্ত ভোট ১২০,মশাহিদ মিয়া (৪০),সাধারন সম্পাদক পদে ফখরুল ইসলাম ৩০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।