রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় চলমান (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪ হাজার ২৫৩ জন শিক্ষার্থী। উপজেলায় মোট ৬ টি কেন্দ্রে গিয়ে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে এসএসসি, দাখিল ও কারিগরির এসব পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সড়ক গুলোতে পারাপার হচ্ছেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার শিক্ষার্থী অভিভাবক ও পথচারীরা। সড়কের যানজটের কারণে কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ লাইন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের মিতা বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চলমান এসএসসি, দাখিল ও কারিগরির পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় মিতা সিনেমা রোড, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, হক সাহেবের মোড়, জিতেন দত্ত মঞ্চ এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের জন্য যানজটে দীর্ঘ লাইন ধরে পারাপার হচ্ছেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী অভিভাবক ও পথচারীরা।
জানা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলায় মোট এসএসসি, দাখিল ও কারিগরির শিক্ষার্থী রয়েছে চার হাজার ৪ হাজার ২৫৩ জন। এরমধ্যে পৌরশহরে মোট কেন্দ্র রয়েছে তিনটি। কেন্দ্রগুলো হল বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বদরগঞ্জ ওয়ারেছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা। তিন কেন্দ্রে মোট শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন ২ হাজার ৯২১। বাকি ১ হাজার ৩৩২ জন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ভি.আই.পি শাহাদৎ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ওসমানপুর বাহারুল উলুম ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কগুলো বেশি প্রশস্ত না হলেও উভয়পাশ থেকে একে অপরকে চেপে ধরেছে বাজার ও অস্থায়ী দোকানপাট। ফুটপাতেও গিয়েছে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলেই। ফলে সংকীর্ণ ওই রাস্তা দিয়েই পরীক্ষার্থী পথচারী, সাইকেল মোটরসাইকেল আরোহীসহ বিভিন্ন যানবাহনের জন্য সড়কটিতে চলাচলকারীদের করতে হয় ভোগান্তিতে।
মিতা সিনেমার রোডে সোমবার দুপুরে অন্তত ১০ জন পরীক্ষার্থীরা বলে, সকালে পরীক্ষার কেন্দ্রে যানজটের কারণে যেতে অনেক সময় লেগেছ। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় মিতা সিনেমার রোডে বিভিন্ন যানবাহনের কারণে সড়কটি পার হতে সময় লেগেছে ২০ মিনিট। অপরদিকে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও হক সাহেবের মোড় পর্যন্ত অনেক যানজট। এর মধ্যে শুরু হয়েছে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকলকে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানে মুঠোফোনে বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে পৌরসভার পক্ষ থেকে আনসারকে দেওয়া হয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।