নরসিংদীতে টিকটকে পরিচয়ের সূত্রে এক কিশোরীকে ঘুরতে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ফলে কিশোরী অসুস্থ হয়ে গেলে শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযুক্তরা হলো- শিবপুর উপজেলার বাঘাব গ্রামের হারুন দেওয়ানের ছেলে আশিক দেওয়ান শান্ত (১৯) উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মোয়াজ্জেম কাজীর ছেলে দিনার কাজী (২২)। এদের মধ্যে শান্তকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, নরসিংদীর ভেলানগর এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত আশিক দেওয়ান শান্তের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার ওই কিশোরী শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে বোনের বাড়ি বেড়ানো শেষে শান্তর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরসিন্দুর ব্রিজে ঘুরতে যায়। সেখানে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেলে তারা চলনা গ্রামে শান্তর বন্ধু দিনার কাজীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখানে দুই বন্ধু পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে গেলে শান্ত কিশোরীকে শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের দেখে ডাক্তারের সন্দেহ হয়। পরে ডাক্তার নরসিংদী সদর থানা পুলিশকে অবহিত করে। এরপর ডাক্তার ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তাদের থানায় নিয়ে অভিভাবকদের জানানো হয়। আর বিষয়টি পলাশ থানার ঘটনা হওয়ায় তাদের পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, সকালে দুইজন যুবক এক কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তারা জানায় কিশোরীটি বিষ খেয়েছে। ওদের আচরণে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় কিশোরীর সঙ্গে আলাদা কথা বললে সে ধর্ষণের কথা জানায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সঙ্গে থাকা একজনকে আটক করে আর কিশোরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এখন মেডিকেল পরীক্ষার পর বিষয়টি উদ্ঘাটন করা যাবে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। এ কারণে অভিযুক্ত শান্তকে আটক করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে রোববার মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।