রংপুরের বদরগঞ্জের একটি সড়কে ১৩৭টি স্টিক লাইট (সড়কবাতি) স্থাপনার এক বছরের মধ্যেই সেগুলোর বেশির ভাগ চুরি হয়ে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলোও আর কোন কাজে আসছে না। ফলে পথচারীদের অন্ধকারের মধ্যেই চলাচল করতে হয়েছে। এতে প্রতিটি দিন রাতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে গত বছর উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে চুরি ও দুর্ঘটনার রোধে রংপুর পার্বতীপুর সড়কের দুই ধারে (চেংমারী হতে হাসিনা নগর) পর্যন্ত ১৩৭ টি স্ট্রিট লাইট স্থাপনা (সড়কবাতি) করা হয়। এই লাইট স্থাপনের ওই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩১ লাখ টাকা। লাইটগুলো স্থাপনার পর সড়কটি রাতে আলোকিত থাকতো। কিন্তু সেগুলো স্থাপনার কয়েকদিন পর থেকেই দুর্বৃত্তরা চুরি করতে থাকে সোলার প্যানেল লাইট ও ব্যাটারি।
গত শনিবার (১২ এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ট্রিট লাইটের(সড়কবাতি) শুধু পোল (খুঁটি) দাঁড়িয়ে আছে। পোল (খুঁটির) মাথায় নেই সোলার লাইট ও ব্যাটারি। কোথাও কোথাও পোল(খুঁটি) সড়কের ধারে পড়ে আছে আবার কোথাও পোলও(খুঁটি) চুরি হয়েছে।
পথচারী বাদশা মিয়া বলেন, চ্যাংমারি থেকে বদরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টি স্ট্রিট লাইট (সড়ক বাতি) লাগানো আছে এর বেশিরভাগ লাইট রাতে জ্বলছে না। বেশিরভাগ পোল মাটিতে পড়ে আছে। একটি পোলতোও (খুঁটিতে) ব্যাটারি প্যানেল লাইট কিছুই নেই। বেশ কিছুদিন ধরে মাটিতে পড়ে থেকে পোলগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রামনাথপুর ইউনিয়ানের ভ্যানচালক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন বদরগঞ্জ থেকে মোক্তার পাড়া ভাড়া নিয়ে যাই। রাত হলেই অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সড়কের দুই পাশে লাইট গুলো লাগানোর পর যাতায়াতে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন অন্ধকারের মধ্যে যেতেও ভয় লাগে। তাড়াতাড়ি লাইট গুলো ঠিক করা দরকার। আমাদের জন্য ভালো হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, আমি যোগদানের আগেই সড়কের স্ট্রীট লাইট গুলো নষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। কোন প্রকল্প থেকে সড়কের স্ট্রীট লাইট গুলো লাগানো হয়েছিল দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিঁনি।