সম্প্রতি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের এক চিকিৎসক ডা. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠে এসেছে। একইসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের অপকর্ম ঢাকতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন।
আজ (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডা. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযোগ পত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, “সম্প্রতি 'জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করলেন ন্যাশনালের ডাক্তার মোশাররফ হোসেন' শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর আগেই অভিযুক্ত ডাক্তার, নিজের অপকর্ম ঢাকতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সম্মানিত আহ্বায়ক এবং দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রিয়ব্যক্তিত্ব মেহেদী হাসান হিমেলের বিরুদ্ধে '২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির' যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন, তা নিঃসন্দেহে তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের নগ্ন চেষ্টা।
তারা আরও বলেন, গত ১৩ এপ্রিল অভিযুক্ত ডাক্তার মোশাররফ বাকি ৪ জন অংশীদারের চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান হিমেলের মামা, ডা. হারিসের অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় গেলে তিনি হিমেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। অথচ, মেহেদী হাসান হিমেল তার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রমাণ দিয়েছেন এবং যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অভিযুক্ত ডাক্তারের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। মূলত ডা. মোশাররফ তার নিজের অনৈতিক কর্মকাণ্ড আড়াল করতেই এই মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। আমি একজন ছাত্র সংগঠক হিসেবে সবসময় গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার পক্ষে কাজ করেছি। আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চলছে। আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং ইতোমধ্যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণ করেছি।”