বাগেরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের শনির বাজারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তিন শতাধিক ভুক্তভোগী পরিবার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ইউনিয়নের ডেউয়াতলা এলাকার ৬০ বিঘা আয়তনের একটি চিংড়িঘের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেন আওয়ামী লীগের দোসর তানিয়া ইসলাম এবং তার নানা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোহর আলী গাজী। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে তাদের বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে জনৈক সাইফুল ইসলাম দুই বছরের চুক্তিতে হারি প্রদানের মাধ্যমে একটি মাছের ঘের পরিচালনা করছে। ওই ঘেরটি বিগত দিনে জিউধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোহর আলী গাজী জোরপূর্বক দখল করত। শেখ হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মোহর আলীকে জমির মালিকেরা ঘের ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু মোহর আলী ঘের না ছেড়ে ঘেরটি অবৈধভাবে দখলে রাখার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ প্রশাসন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। তার এই কাজে সহায়তা করেন তার নাতনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী তানিয়া ইসলাম। তানিয়া ইসলামের বাবাও সুন্দরবন এলাকার একজন যুবলীগ নেতা। ইতিমধ্যে নানা মোহর গাজীর পক্ষ নিয়ে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের নিকট মিথ্যা তথ্য ও প্রদান করেছে সে।
তারা আরো বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহর আলী গাজী বিগত বছর গুলোতে জমির একাধিক মালিককে হারির টাকা প্রদান করেন নাই। প্রতিবাদ করলে ২০২২ সালে স্থানীয় ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে তার লোক দিয়ে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ২০০৬ সালে সন্ত্রাসী হামলায় ওমর গাজী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী কুরছিয়াকে তিন বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দিলেও টিকিট ও জমির দলিল না দিয়া তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এরকম আরো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে সময় তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় নাই। মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে ইব্রাহিম শেখ, ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার আলভীর মামা মোস্তাফিজুর রহমান জীবু, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, গৌতম মন্ডল, নাজমুল হাসান রাখি, নিহত ওমর গাজীর স্ত্রী কুরসিয়া বেগমসহ একাধিক ভুক্তভোগী এ হয়রানির প্রতিকার চেয়ে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা মোহর আলী গাজীর নাতনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী তানিয়া ইসলাম বলেন, ডেউয়াতলা এলাকার ৬০ বিঘা চিংড়িঘের টির মধ্যে ৪৬ বিঘা জমি তার নানা মোহর আলী গাজীর। ২০২৩ সালে তাদের নামে চুক্তিপত্র হয়। ৫ আগস্ট এর পর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার লোকজন নিয়ে তাদের ঘেরটি দখল করে। কাউকে হয়রানি করার জন্য নয় তিনি নায্যতার দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট প্রতিনিধি।