মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার খেয়াঘাট ব্রীজ থেকে ভরাডহর কয়লারঘাট ব্রীজের মধ্যবর্তী স্থানে অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গন ও রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হওয়া ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা, মৌজা বাতিল করা সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শিলুয়া খেয়াঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন (ভিডিও কলে) মৌলভীবাজার জেলার জামায়াতে ইসলামী'র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহামান, ষোলপনি ঈদগাহ্'র ইমাম মাওলানা সায়েম উদ্দীন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর জুড়ী শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি আব্দুর রহমান, নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ ফয়সল আহমদ। এছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন সমাজসেবক মখলেছুর রহমান, আলিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, জামিল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, জুনেদ আহমদ ছাত্র প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান শোয়েব প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ মৌজা সমুহ হতে বাতিলের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বালু উত্তোলন অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। এ বিষয়ে নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান বলেন, "ব্রীজ রক্ষার্থে যদি সরকার ২ কিলোমিটার বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায় তাইলে বাকি ৫০০-৭০০ মি: জায়গা একটা গ্রামের ঘরবাড়ী ,ফসফলাদি এবং বেড়িবাধের যেখানে এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেখানে বালু উত্তোলন কেন বন্ধ করা যাবে না। আমি এলাকাবাসীর এই যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং ১৪৩২ বাংলার ইজারা আসার আগেই যেনো এই দুই ব্রীজের মধ্যবর্তী জায়গার মৌজা বাতিল করে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়