মামলার সাক্ষী হওয়ায় ঐ মামলার আসামীরা পথ আটকিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে সাক্ষীকে। তবে পথচারিরা এগিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মেডিকেল মোড়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টায় তানোর পৌরএলাকার গুবিরপাড়ার মাহাবুব আলম বকুল (৩৯) ও তার ভাই আজিবুর রহমান পারিবারিক কাজে আমশো মেডিকেল মোড়ে যান।
সেখানে হাতে দা, হাসোয়া ও লোহার রড নিয়ে রেজাউল ইসলাম (৩৫), মিজান (৩৩) ও জলিল (৫৫) নামে তিন ব্যক্তি বকুল হোসাইন'র মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। প্রায় এক ঘন্টার বেশী সময় ধরে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। পেটানোর পরিমান বাড়তে থাকলে বকুলের আর্ত চিৎকারে আমশো মেডিকেল মোড়ে থাকা সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসলে তারা সেখানে বকুলকে ফেলে চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় তাকে মেডিকেলে নিয়ে যেতে নিষেধ করে তারা। পরে বকুলকে তানোর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও তারা বাধা দেয় এবং সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করে। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নেয়া হয় বকুলকে। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বকুল।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মাহাবুব আলম বকুল বলেন, তাদের সাথে আমার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে আমার নাম রয়েছে বিধায় আমার সাথে এরকম করা হচ্ছে। সেদিন আমার সাথে আমার ভাই না থাকলে আর মেডিকেল মোড়ের সাধারণ মানুষ এগিয়ে না আসলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলতো।
জানতে চাইলে তানোর থানার ওসি আবজাল হোসেন বলেন, আমার কাছে মাহাবুব আলম বকুল একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।