বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে বুধবার সকাল ৮ টার সময় উপজেলার ফারাকপুর হিসনা পাড়া নামক স্থানে আয়েশা পক্ষের তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন ঐ এলকায় নবজাতক(বাচ্চা) নাচাতে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালাই ভেড়ামারার তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি শিপন সহ তার লোকজন। ঘটনাস্থলেই তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি শিপনের নেতৃত্বে তার অন্যান্য তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা হাতুড়ি, লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে যখমী আহত করে মিম নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন সদস্যকে ও বিথী নামের আরেকজনকে মারতে মারতে জোর করে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আহত ও অপহরণ হওয়া তৃতীয় লিঙ্গের দুই জনই দৌলতপুর উপজেলার তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি আয়েশা পক্ষের।
খোঁজখবর নিয়ে আরো জানাগেছে এলাকাভিত্তিক ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের শিপন ও আয়েশার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে এ সকল দ্বন্দ্ব নিয়ে ভেড়ামারা ও দৌলতপুরের স্থানীয় নেতৃত্বের লোকজনের সাথে একাধিকবার বসার পরেও কোন সমাধান আসেনি। দৌলতপুরের তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি আয়েশা জানান, পেটের দায়ে আমরা নিজ এলাকায় নবজাতক(বাচ্চা) নাচিয়ে যে পয়সা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। এমন অবস্থায় ভেড়ামারা সহ পাঁচটি উপজেলায় দখল থাকার পরেও শিপন আমার নিজ এলাকা দৌলতপুরে এসে দখলদারিত্ব খাটাতে চাই এবং আমরা যেখানেই কাজ করতে চাই সেখানেই তার দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালাই।
তিনি আরো জানান, একাধিক বার শিপনের হামলার শিকার হয়েছি আমরা, আজ আমাদের একজন সদস্যকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে দিয়েছে ও আরেজন সদস্যকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। যাকে তারা উঠিয়ে নিয়ে গেছে তাকে মেরে ফেলেছে না বাঁচিয়ে রেখেছে এখনো তার কোন খবর পাইনি। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আপনারা এর সুষ্ঠু বিচার করে দেন।
এ বিষয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ভেড়ামারা অঞ্চলের সরদারনি শিপনের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এদিকে এ ঘটনার পর দৌলতপুর অঞ্চলের তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি আয়েশা বাদী হয়ে ভেড়ামারা অঞ্চলের সরদারনি শিপনকে প্রধান আসামি করে দশ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ১২ জন কে আসামি করে একটি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নাজমুল হুদা জানান, আমি সারাদিন বাইরে থাকাই কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি, এজাহার অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান ও অপহরণ হওয়া একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।