মৌলভীবাজারে ড্রেনে পানি পড়া নিয়ে পূর্ব বিরোধে জেরে মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর এলোপাতাড়ি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ তিন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা গিলমান আহমদ, অফিস সহকারি শিপন আহমদ ও মাদ্রাসা শিক্ষক রাসেল আহমেদ। তাদের মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা গিলমান আহমদ এর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও হামলায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মুফতি ওয়াজিদুর রহমানও আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শেরপুর এলাকার জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসা কতৃপক্ষের সাথে স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের ড্রেনের পানি পড়া নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে চান মিয়া নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মাদ্রাসায় হামলার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে ।
বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও স্থানীয় সালিশ ব্যক্তিরা বিরোধ সমাধানে বৃহস্পতিবার সকালে বসে মিমাংসা করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বৈঠকের ঠিক আগ মুহূর্তে অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওই এলাকার চান মিয়ার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় অবস্থান করা শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। খবর পেয়ে শেরপুর পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরবর্তীতে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এর পর আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৩ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র সহ আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। আর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।
আটককৃতরা হলো, শেরপুর আবাসিক এলাকার মৃত: হরমুজ উল্লার ছেলে চান মিয়া (৫০), আব্দুল বশির এর ছেলে মোঃ আব্দুল আমিন (২৬) ও আব্দুল বশির এর ছেলে খালেদ আহমেদ (৩২)।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, হামলার ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।