জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় শহীদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) গনধর্ষনের ১ মাস ১০দিন পরে মানসিক যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে আত্ম হননের পথ বেছে নেন। বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
রোববার দুপুরে ঢাকা সেহরোয়ার্দি হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পরে নামাজের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন স্বজনসহ এলাকাবাসী। কয়েক দিন পূর্বে লামিয়া তার মায়ের সাথে ঢাকায় যান এবং গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সাহসিকতার সাথে তিনি নিজে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। তারা কারাগারে রয়েছেন।
পরিবারের দাবি, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই লামিয়া গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক লজ্জা, অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি করে। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পরিবারের ধারণা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন সজনসহ স্থানীয়রা।