মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই যুবককে ভারতে পাচারের অভিযোগে থানায় দায়েরকৃত মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার ডিমাই বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। পরে র্যাব-৯ তাকে বড়লেখা থানায় সোপর্দ করে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। শরফ উদ্দিন নবাব কেছরিগুল গ্রামের সজ্জাদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গ্রেফতার আসামি শরফ উদ্দিন নবাব ও তার সহযোগিরা উপজেলার ডিমাই গ্রামের আব্দুল কাদির ও গিয়াস উদ্দিনকে ৫ এপ্রিল ভারতে পাচার করে সেখানে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল কাদিরের মা নেছা বেগম ৭ এপ্রিল ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার আইনে থানায় মামলা করেন। এই মামলার আসামি আব্দুল মালিক ও রুবেল আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ কারাগারে পাঠায়। মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে অবশেষে শনিবার রাতে ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবকে উপজেলার ডিমাইবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে।
সিলেট র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কেএম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তাকে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবুল কাশেম সরকার রোববার বিকেলে জানান, মানবপাচার আইনে এক নারীর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবকে র্যাব-৯ গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।