ছবি: সংবাদ সারাবেলা
কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। রবিবার বিকালে সংশ্লিষ্টদের সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা।
তিনি জানান, উদ্বর্তন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপের পর সন্ধ্যায় ওই স্থানে গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার মধ্যে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি আদেশ অমান্য করে শহরের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শহরজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, ২০০০৩ দাগভুক্ত ৩৯.৭৮ একর জায়গা ২০১৮ সালে সরকারিভাবে খাস ঘোষণা করা হয়। এই জায়গাটি কলাতলী থেকে শুরু হয়ে লাবনী পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এখানে আর কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নেই। এর মধ্যে ২.৩ একর জায়গা ১নং সরকারি খাস খতিয়ানের অংশ। এ জায়গা নিয়ে রীটকারী সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্তের করা মামলা (নং ১০৬৫৭/২৪, তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) এর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল (নং ৩৭২৯/২৪) দায়ের করলে আদালত সরকারের আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে স্থগিতাদেশ দেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগেও জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ ও শাহীন ইমরান দায়িত্ব পালনকালে ওই জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। তবে কিছুদিন পর আবারও সেখানে মাটি ভরাট ও ১০০টিরও বেশি দোকানের মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুয়া খতিয়ান ও জাল দলিল তৈরি করে সরকারি জায়গা দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুলসহ একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দখলকৃত তিন একর জায়গার চারপাশে প্রায় ২০ ফুট উঁচু টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে, যাতে ভিতরের কার্যক্রম বাইরে থেকে দেখা না যায়। রাতে কাজের গতি আরও বেড়ে যায়।
বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরজমিনে গিয়ে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও সরঞ্জাম জব্দ না করায় অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে, মৌখিক নির্দেশের দুই ঘণ্টা পরই আবার পুরোদমে কাজ চলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. সালাহ্উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি নজরে আসার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেছে। সংশ্লিষ্টদের সঠিক কাগজপত্রসহ দেখা করতে বলা হয়েছে। যদি কাগজপত্রে কোনো গড়মিল পাওয়া যায়, তাহলে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh