জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে তৃতীয় শ্রেণীর স্কুলছাত্র আব্দুল কাদের কাফি (০৮) হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ এপ্রিল (সোমবার) বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্ষেতলাল পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা বাজার এলাকায় এসে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে ক্ষেতলাল থানা গেটের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। পরে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ বিক্ষোভকারী কাছে এসে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাঁকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নিহত কাফির বাবা ইকবাল খন্দকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার মূখপাত্র শাহীনুর ইসলাম শাহীন, ক্ষেতলাল উপজেলা ও আলমপুর ইউনিয়নের ছাত্র প্রতিনিধি আতিক ইসলাম আকাশ, জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা সভাপতি জোবায়ের হোসেন ও প্রভাষক সেলিম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী কাফি হত্যার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে এই খুনের সাথে জড়িত খুনিদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা।
প্রতিদিনের মতো গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলো স্কুলছাত্র কাফি খন্দকার। খেলাশেষে সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও বাড়ি ফিরেননি কাফি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের সন্ধান না পেয়ে চরম হতাশা, কষ্ট ও অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় জিডিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সন্ধান মিলেনি। বিষয়টি জেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে। নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও রাফির কোনো সন্ধান মেলেনি। শনিবার দুপুরে প্রতিবেশী এক নারীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া আব্দুল কাদের কাফি খন্দকারের লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় অর্ধগলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
পরে খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির সঙ্গে একমত হয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) দ্বীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাঁকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।