গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত অবস্থা। নিম্ন আয়ের মানুষ জন ও শহরে চলাচলকারী রিক্সা ভ্যান, অটো শ্রমিকদের এখন যায় যায় অবস্থা। তারপরও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলছেন তারা। অন্য দিকে চলতি এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পথচারীদের হাসফাঁস অবস্থা। এমন সময়ে বাসট্যান্ড, পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন সহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে তৃষ্ণার্ত জনসাধারনের হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে ও তীব্র গরমে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় লিফলেট, সুপেয় পানি ও শরবত বিতরণ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পাঁচবিবি উপজেলার স্বেচ্ছাসেবীরা।
(২৭ এপ্রিল) রোববার থেকে পৌর শহরের পাঁচমাথা ও পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্বে রোদ ও গরমের তাপমাত্রা না কমলে আরো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ কার্যক্রম প্রসার কথা জানান।
পাঁচমাথা এলাকায় দেখা যায়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীরা রাস্তা পথে চলাচল রত ক্লান্ত পথচারীদের সরবত ও সুপেয় পানি পান করাচ্ছেন। এদিকে প্রখর রোদে যাত্রা পথের ক্লান্ত শরীরে এসে সুপেয় পানি পান করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছেন তারা।
ভ্যান চালক সুজিত বর্মণ বলেন, প্রচন্ড রোদে ১০ কিঃমিঃ দুর থেকে যাত্রী এনে নেমে দেওয়ার পর পানির পিপাসা শরীর অচলাবস্থা। এখানে এক গ্লাস ঠান্ডা সরবত খাওয়ার পর যেন শক্তি ফিরে পেলাম।
জনৈক এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে রোদ আর গরমে যায় যায় অবস্থা। এখানে পানির ব্যবস্থা থাকায় খুব উপকার হয়েছে আমাদের।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পাঁচবিবি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী মোসাদ্দিক মাহি বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে এস এস সি পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিক্সা ভ্যান অটোচালক কষ্টের কথা চিন্তা করে সুপেয় পানি ও সরবতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাজে মহীপুর হাজি মহসিন সরকারী কলেজ, পাঁচবিবি মহিলা কলেজ ও ডিগ্রি কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ গ্রহণ করেন। তীব্র তাপদাহ চলাকানীন সময়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।