রাজশাহীর তানোর প্রচন্ড খরাপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখানে সেচ নির্ভর বোরো চাষে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হয়। কিন্তু তানোরে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে।
এদিকে তানোরে বোরো চাষে সেচ পানির সংকটের কথা মাথায় নিয়ে সেচ সাশ্রয়ী ও কম খরচে বোরো উৎপাদন নিশ্চিত করতে, ডাইরেক সীডেট রাইস (ডিএসআর) পাইলট প্রকল্প (পরীক্ষামুলক) হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি),পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নে (ইউপি) প্রায় একশ’ বিঘা জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়েছে। রাপিত ধান (টিপিআর) চাষ পদ্ধতি থেকে আলাদা । ডিএসআর পদ্ধতিতে একই সঙ্গে চাষ, বীজ বপণ ও মইদেয়া যায়।এমনকি বীজ বপনের আগে সেচ সহ বা ছাড়াই ধানের বীজ মাটিতে রোপণ করা যায়। টিপিআর পদ্ধতিতে ধান চাষে সেচ লাগে প্রায় ১৪টি কিন্তু ডিএসআর পদ্ধতিতে সেচ লাগে মাত্র ৭টি।এই পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ কম হয়। ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রথম সেচ (প্রাক-বপন ছাড়া) বীজ বপনের ২১ দিন পরে প্রয়োজন । এটি রোপিত ধানের মতো নয়, যেখানে প্রথম তিন সপ্তাহে জলমগ্ন নিশ্চিত করতে প্রতিদিন পানি দিতে হয়।
এড়াও বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায় এটি শ্রম সাশ্রয় করে, কম সেচ প্রয়োজন, কম পরিশ্রম, দ্রুত ফসল পরিপক্কতা, কম উৎপাদন খরচ, ফসল ফলানোর জন্য উন্নত মাটির ভৌত অবস্থা এবং কম মিথেন নির্গমন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএও) আকবর হোসেন বলেন, তারা উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রায় একশ বিঘা জমিতে ধান চাষে সহযোগীতা করেছেন। তিনি বলেন, আগামিতে সেচ সাশ্রয়ী হিসেবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধানচাষে কৃষকেরা আগ্রহী হবেন।