ছবিঃ সংগৃহীত।
তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করায় মানিকগঞ্জে এক নারী ও তার কথিত দ্বিতীয় স্বামীকে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায়, সদর উপজেলার উচুটিয়া এলাকায়।
প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস জানান, তার সাথে নয় বছরের বৈবাহিক জীবনে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দেড় বছর আগে স্ত্রী বন্যা শিকদার সন্তানদের ফেলে প্রেমিক ইনসান হোসেন হৃদয়ের সঙ্গে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তারা হঠাৎ এলাকায় আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি অভিযোগ করেন, স্ত্রী তাকে না জানিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেছেন, এবং যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থও নিয়ে গেছেন।
ঘটনার আইনি প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, পারিবারিক আইন অনুযায়ী মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদে তালাক একটি বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বৈধভাবে তালাক না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেটি শরীয়ত ও দেশের প্রচলিত আইনে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, জীবিত স্বামী বা স্ত্রী থাকাকালীন বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়া পুনরায় বিয়ে করলে তা ‘বিগ্যামি’ বা বহুবিবাহের অপরাধ বলে বিবেচিত হয় এবং এতে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।
দ্বিতীয় স্বামী ইনসান হোসেন হৃদয় দাবি করেন, তিনি বন্যার আগের বিয়ের কথা জানতেন না এবং প্রেমের সম্পর্ক থেকেই তাদের বিয়ে হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে নারী ও তার সঙ্গী থানার হেফাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত নারী বন্যা শিকদার (২৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের চান্দি গোলড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত দ্বিতীয় স্বামী ইনসান হোসেন হৃদয় (২৮) ভোলা জেলার মধ্য জয়নগর এলাকার মো. নাসিরউদ্দিনের ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের শুরু হয় তাদের। এর আগে একই ছেলের সাথে দুইবার স্বামী ও দুই মেয়েকে রেখে চলে যান বন্যা। পরে তার পরিবার সেখান থেকে থাকে ফিরিয়ে আনেন।
প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের তেঘুড়ি এলাকার মৃত কাজী হাশেমের ছেলে। সে পেশায় গাড়ির ইঞ্জিন মেকানিক।
প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস অভিযোগ করে বলেন, সে আমার সাথে সংসার করবে না এটা না জানিয়েই অন্যের সাথে চলে গেছে। আমার পাঁচ ও সাত বছরের দুইটি মেয়ে আজ মা থাকতেও মা ছাড়া। সে যাওয়ার সময় আমার দেওয়া দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও আমার জামানো লাখ খানেক টাকা নিয়ে গেছে। এমন মা যেন কোনো পরিবারে না জন্মায়। আমি চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক। দেশবাসী দেখুক, সচেতন হোক।
দ্বিতীয় স্বামী ইনসান হোসেন হৃদয় বলেন, ইতোপূর্বে আমার স্ত্রীর বিয়ে হয়েছিল বিষয়টা আমি জানতাম না। তার সাথে আমার মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেম হয় তারপর আমরা বিয়ে করি। প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে তাই আমার পরিবার এখনো মেনে নেয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh