খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার নদীবেষ্টিত ও দুর্গম এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার ন্যূনতম নিশ্চয়তা দিতে “নৌ অ্যাম্বুলেন্স” সরবরাহের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ (৪ মে) সকাল ১১টায় ‘উপকূল ও সুন্দরবন সংরক্ষণ আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এবং কয়রার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সচেতন নাগরিক ও যুব প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এ স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, কয়রার অধিকাংশ ইউনিয়ন নদীবেষ্টিত হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রোগী পরিবহন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। অনেক সময় চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় গুরুতর রোগীর মৃত্যুও ঘটে। দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, মহেশ্বরীপুরসহ বেশ কিছু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একমাত্র নদীনির্ভর। সড়কপথে চলাচলের সুযোগ না থাকায় সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
উল্লেখ করা হয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের কোলঘেঁষা দক্ষিণ বেদকাশীতে দ্রুত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে নৌ অ্যাম্বুলেন্স অপরিহার্য। যদিও কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, তবে সেখানে প্রাথমিক সেবা ছাড়া কিছুই মেলে না। এমন বাস্তবতায় আধুনিক চিকিৎসা পৌঁছে দিতে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স এখন সময়ের দাবি।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘উপকূল ও সুন্দরবন সংরক্ষণ আন্দোলন’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন, কয়রা প্রেসক্লাব সভাপতি সদর উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো কয়রা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি শিক্ষক মেসবাহউদ্দিন, কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনু, কয়রা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, কয়রা জলবায়ু পরিষদের সংগঠক নিরাপদ মুন্ডা এবং ‘উপকূল ও সুন্দরবন সংরক্ষণ আন্দোলন’-এর সদস্য জি এম মোনায়েম, রাসেল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
স্থানীয়দের মতে, কয়রার জীবনরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স কার্যকরভাবে চালু করা সময়ের দাবি।