× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সোনারগাঁয়ে লিচুর বাম্পার ফলন

মো.আল আমীন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।

০৪ মে ২০২৫, ১৭:১০ পিএম । আপডেটঃ ০৪ মে ২০২৫, ১৭:১৩ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

বাংলাদেশে সব জেলার আগে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের লিচু সবার আগে ফলন হয়।সে জন্য সোনারগাঁয়ের লিচুর কদর খুবই বেশী।খেতেও মিষ্টি সুস্বাদু।বাজারে এসে গেছে সেই লিচু।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। এখানে শত শত বাগানে ফল ধরেছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ফলন আগের তুলনায় দ্বিগুণ। কিছু লিচু খরায় ঝরে গেলেও উৎপাদন ভালো। বাগানিরা জানান, পাইকাররা আগেই লিচু কিনে নিচ্ছেন। প্রতি হাজার লিচু ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবার বাজারে ৮ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। সোনারগাঁয়ের লিচু দেশের বাজারে আগে ওঠে। কদমি লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, গত বছর এখানে অর্ধশতাধিক গ্রামে ১০০ হেক্টর জমিতে ৬৫০টি লিচুবাগান গড়ে উঠেছিল। আকারে ছোট হলেও এখানকার কদমি, মোজাফফরপুরী, পাতি, চায়না-থ্রি, এলাচি ও বোম্বাই জাতের লিচুর কদর সবচেয়ে বেশি। সে বছর লিচু চাষিরা পাইকারি দরে ৬ কোটিরও বেশি টাকার লিচু বিক্রি করেছিলেন। এ বছর উপজেলায় ১০৭ হেক্টর জমিতে ৬৬৬টি বাগানে লিচুর ফলন হয়েছে। এসব বাগানের লিচু পাইকারি দরে ৮ কোটিরও বেশি টাকায় বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন বাগানিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ অঞ্চলে লিচুর চাষ শুরু হয় বহু বছর আগে। পর্তুগিজদের আগমনের পর তারাই প্রথম এ অঞ্চলে লিচুর চাষ শুরু করেন। নব্বইয়ের দশকে এখানে দেশের বৃহৎ লিচু চাষ হলেও তা কয়েক বছরের মধ্যে কমে আসে। তবে প্রায় এক যুগ ধরে এখানকার বাগানিরা বাজারে লিচুর কদর পেয়ে নতুন নতুন বাগানে ফলন করে চলেছেন।

শুরুর দিকে পানাম ও আদমপুরে লিচু চাষ হলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে সাদিপুর,  যোল্পপাড়া, দরপত, সনমান্দী, গোয়ালদী, বৈদ্যেরবাজার, ভট্টপুর, গাবতলী, হাড়িয়া, অর্জুন্দী, দুলালপুর, গোবিন্দপুর, কৃষ্ণপুরা, বাগমুছা, হাতকোপা, দত্তপাড়া, আদমপুর, খাগুটিয়া, খাসনগর দীঘিরপাড়, চিলারবাগ,দৈলরবাগ, টিপরদী, হরিশপুর, তাজপুর, ইছাপাড়া, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়াদীঘির পাড়, মোগরাপাড়া, বাড়িচিনিসহ বিভিন্ন গ্রামে।

জানা গেছে, সোনারগাঁয়ের কদমি লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই লিচু আকারে ছোট হলেও রং টকটকে লাল। প্রতি বছর এখানকার লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এখানে লিচু চাষ বাড়ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। যেটা আগের তুলনায় দ্বিগুণ। এখন বাগানিদের অপেক্ষা শুধু বাজারজাতকরণের।

সোনারগাঁ পৌরসভার লাহাপাড়া গ্রামের লিচু চাষি আবদুল আউয়াল জানান, তার বাগানে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। যদিও খরার কারণে অনেক লিচু ঝরে পড়েছে, তারপরও লাভ হবে বলে আশা করছি।

পৌরসভার যোল্পপাড়া এলাকার লিচু ব্যবসায়ী বেনু মোল্লা জানান, তিনি ২০ বছর ধরে লিচু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, 'তিনটি বাগান তিন বছরের জন্য ২০ লাখ টাকায় কিনেছি। বাগানগুলোতে পাতি, কদমি, বোম্বাই, চায়না-টু এবং চায়না-থ্রি জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে টাকার পাইকাররা গাছের লিচু কিনেছেন। প্রতি হাজার ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।' চলতি সপ্তাহে লিচু ভাঙা শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, 'এ বছর সোনারগাঁয়ে ১০৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৭২০ টন লিচুর উৎপাদনের লক্ষ্যে বাগান করেছেন চাষিরা। ছোট-বড় মিলে এখানে ৬৬৬টি লিচুবাগান রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি লিচুর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কিছু লিচু গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।'

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.