বান্দরবান রুমা উপজেলায় রুনা চন্দ্র ত্রিপুরা এবং সজরু ত্রিপুরা বৃদ্ধ দম্পতি তাদের কোন ছেলে মেয়ে না থাকায় এবং বসতবিটা না থাকায় ঠাঁই পেয়েছে পরিত্যক্ত রয়েল পাড়া ত্রিপুরা কুঠিশিল্প কেন্দ্রে টিবি রোগের এবং চোখে ঝাপসা, হাটু কোমরে ব্যথা,বৃদ্ধ দম্পতি এখন শুধু হতাশা আর হতাশা।
অসহায় দম্পতি রুমা উপজেলায় রয়েল পাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সেংগুম মৌজা বাসিন্দা।
অসহায় বৃদ্ধ রুনা চন্দ্র ত্রিপুরা( ৮০) ও ও তার স্ত্রী সজরু ত্রিপুরা (৬৭)বর্তমান রয়েল পাড়া আর্মি ক্যাম্পের এরিয়ার পাশে পরিত্যক্ত কুঠি শিল্পের বসবাসরত রয়েছেন।
বৃদ্ধ অসহায় চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন এই বয়সে আমাদের দেখার মত কেউ আছে।আমার শরীরে টিভি রোগের ভুগছি আমি, চোখে কম দেখি, কানে ও কম শুনি ভরসা করার মত পাশে কাউকে পাই না। মাঝেমধ্যে না খেয়ে থাকি দিন পার করি আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন।দিনে ৩ বেলা ভাত তো দূরে কথা ঠিকমতো দুই বেলা ভাত খেতে পারলে খুশি সেটাও তো জোগাড় করতে পারি না। কোমরের প্রচুর ব্যথা, হাত ব্যথা, কাউকে ভর করে উঠতে হয়।থাকার মত ঘর নেই, তাই এই পরিত্যক্ত ভাঙ্গা কুঠিশিল্পের থাকি এবং চালের শত শত ফোটা সেখান থেকে পানি পড়তে থাকে এ বৃষ্টির দিনে সব কাপড়-চোপড় এবং বিছানা বাসায় জিনিসপত্র সব ভিজে যায়। আরো ঘরে একপাশে বেলা নাই,ঘরের অর্ধেক চাল বাতাসে নিয়ে গেছে বলে জানান ।
এইদিকে বৃদ্ধা সজরু ত্রিপুরা জানান সাহায্য বলতে আমরা কিছু পাই না এবং আমাদেরকে খোঁজ খবর কেউ নেইনি। তবে আমি মাঝেমধ্যে জঙ্গলে গিয়ে শাকসবজি খুঁজে সদরঘাট এলাকায় গিয়ে বিক্রি করি আয় হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা মতন সে দিয়ে চাল আধা কেজি এবং তেল এক পাবা, লবণ ও মরিচ দশ টাকার মত কিনতে ও তো টাকা হয় না। প্রত্যেকটা দিন জঙ্গলে গিয়ে শাকসবজি খুঁজে বিক্রিও করতে পারিনা আমারও কানে কম শুনি হাটু ব্যথা করে চোখে দূরের জিনিস তাকাতে পারিনা চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
মাছ মাংস ভালো-মন্দ কবে খেয়েছেন জিজ্ঞাসা করা হলে বৃদ্ধ দম্পতি বলেন উঠেন মনে করতে পারছি না। শরীরের রোগের জন্য ওষুধ কিনতে পারছি না ভালো-মন্দ খাব কি কয় টাকা বা শাক বিক্রি হয় শাকসবজি খুঁজতে তো পারি না জঙ্গলে গেলে পড়ে যায়, শরীর আগের মত কাজ করে না ।
কোন প্রতিনিধি সহযোগিতা করেছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বৃদ্ধ দম্পতি তারা বলেন না
তবে মনে পড়ছে নাম টা এক প্রতিনিধি ১০ কেজি চাউল দিয়েছিল এরপর থেকে সহযোগিতা আমরা কম পাই। বয়স হয়ে গেছি খুঁজতে যেতে পারি না,কাকে কি বলব।
এই ব্যাপারে রুমা উপজেলা (ইউ এন ও) আদনান চৌধুরীকে জানানো হলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় ট্রেনিং এ আসছি তবে রুমা আসলে এ বৃদ্ধ দম্পতিদের জন্য যতটুকু সম্ভব ভালো কিছু করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।