গত শুক্রবার (৯মে) রাত ১২ টার দিকে শহরের আদালত সড়কের বনফুল কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার খবরে ক্ষোভে ফুঁসছেন দলের নেতাকর্মীরা।

এর পর হামলা আর মারধরে আহত মুহিতুর রহমান হেলালকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছালে রাতেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নেন। এর আগে শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কে কলেজ ছাত্রদল নেতা তাজুদুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও হাসপাতালে মুহিতুর রহমান হেলাল এর উপর হামলার ঘটনার খোঁজ নিতে আসেন মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন ও সদর মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান সহ পুলিশের কর্মকর্তারা।  

জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় দলের আহবায়ক কমিটির জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও হামলার ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়ার কথা জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান জানান, হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে মুহিতুর রহমান হেলালের উপর হামলার ঘটনাটি কোনভাবেই মানতে পারছেননা দলের নেতাকর্মীর। তারা জানান, আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদ আমলে দলের জন্য রাজপথে হামলা আর অসংখ্য মামলার শিকার হতে হয়েছে। আর এখন নিজ দলের কর্মীদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। এটি চরম দুর্ভাগ্য। ঘটনার পর থেকে ভিপি মিজানুর রহমানের অনুসারীদেরকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল সোডাউন দিতেও দেখা যায়। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে জেলা বিএনপির ব্যানারে শহরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন বলেন, কোন অভিযোগ এখনো পাইনি তবে হামলার ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে কারা কারা জড়িত সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমানকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি। এর পর বিষয়টি সমাধানও হয়।