রাঙ্গুনিয়ায় চাষী ফার্মের জায়গায় জোরপূর্বক মন্দির নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই মন্দিরটি করা হয়। আশেপাশের একাধিক মন্দির থাকার পরও চাষি ফার্মের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে মন্দির নির্মাণ করে সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আগামী ৩১মে'র মধ্যে স্থাপনাটি অপসারণ করে না নেয়া হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চাষি ফার্মের দায়িত্বশীলরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব অভিযোগ করেন চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, সমিতির খতিয়ানভুক্ত জায়গায় ২০২২ সালের ১৮ জুলাই কিছু ভূমিদস্যু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের প্রত্যক্ষ মদদে মন্দির নির্মাণের নামে অনুপ্রবেশ করে জোরপূর্বক নিমার্ণ কাজ শুরু করে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ এতে বাধা প্রদান করলে তারা বিষয়টিকে জঘন্য সাম্প্রদায়িক রূপ দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা মন্দির ভাংচুর করেছি বলে জঘন্য মিথ্যাচার চালায়। আমরা শত উস্কানির মাঝেও সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে সাম্প্রদায়িক কোন ঘটনা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানাই। এমনকি আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকেও বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আহবান জানাই। নেতৃবৃন্দের অনেকেই আমাদের সাথে সহমত পোষণ করেও তথাকথিত মন্দির কমিটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এতদিন আমরা অপেক্ষা করার পরেও তথাকথিত মন্দির কমিটির অবৈধ দখল প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।
তারা আরও উল্লেখ করেন, আজকের এ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আবারও বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আহবান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ৩১মে ২০২৫ সালের মধ্যে যদি কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয়, তাহলে আমরা মন্দির কমিটিসহ যারা এ ব্যাপারে মদদ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে আইনগত ব্যবস্থা নিব।"
সমিতির সভাপতি-সম্পাদক জানান, চাষী সমবায় সমিতি সমবায় আইন অনুযায়ী ১৯৬৬ সালে নিবন্ধিত একটি সমবায় সমিতি। প্রতিষ্ঠার পরে সমিতি শতভাগ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ৯৮.৪০ একর জমি ক্রয় করে। উক্ত জমি থেকে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কিছু জমি হস্তান্তর করার পরে বর্তমানে ৮১.৮৮ একরের মতো জমি চাষী সমবায় সমিতির নামে খতিয়ানভুক্ত আছে। উক্ত জমির জন্য প্রদত্ত সর্বশেষ খাজনার অনলাইন কপিও রয়েছে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্দির পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল সুধীর ধর জানান, ওই জায়গায় তাদের আগে থেকেই মন্দির ছিলো। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পাকা স্থাপনা করা হয়। জায়গাটি তাদের মালিকানাধীন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। ৩১ মে এর মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।