ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সংবাদ তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সরাতৈল গ্রামে পৌছার পর থেকেই নিহতের স্বজন ও আশপাশের লোকজনের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে আসে। নিহতের চাচা কায়সার উল আলম বলেন, টেলিভিশনে ভাতিজা সাম্য হত্যার সংবাদ দেখে গ্রামবাসী ও স্বজনদের ফোন আসতে থাকে। তারা বাড়িতে ভিড় করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এমন সম্ভাবনাময় টগবগে তরুণকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে আমরা কখনো ভাবিনি। ভাবতেই পারছি না আমার ভাতিজার সাথে আর কখনও কথা হবে না।
সাম্যের প্রতিবেশী চাচা কবির সরদার বলেন, সাম্য প্রতি বছর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। আমাদের সাথে কুশল বিনিময় হতো। এমন বিনয়ী নম্র-ভদ্র তরুণকে এমন হত্যার শিকার হতে হবে আমরা তা মেনে নিতে পারছি না।
সাম্যের ছোট চাচি তানিয়া খাতুন বলেন, প্রতি বছর ২/৩ বার সাম্য গ্রামের বাড়িতে আসতো। তার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। হঠাৎ এমন সংবাদে আমরা হতবাক হয়েছি। নিহত সাম্যের স্বজন ও প্রতিবেশীরা সকলেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছেন। এদিকে, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ও ইসলামী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সমন্বয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সকালে কলেজ এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ বলেন, দেশের যে কোন আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। অথচ অত্যাচারা-নির্যাতনের শিকার আমরাই বেশি হয়েছি। অন্তবর্তী সরকারের আমলেও আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।